শুক্রবার, ১১ জুলাই ২০২৫, ০৫:১৪ পূর্বাহ্ন
Title :
ঝিনাইদহে এনসিপির পদযাত্রা ও পথসভা অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ থেকে ভারতে গেল উপহারের আম ডিসেম্বরের মধ্যেই জাতীয় নির্বাচনের প্রস্তুতি সম্পন্নের নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার দুর্ঘটনায় আহত দরিদ্র ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের এককালীন চিকিৎসা অনুদান দেবে সরকার সরকারি মাইকেল মধুসূদন কলেজের নবনিযুক্ত অধ্যক্ষকে ছাত্রনেতৃবৃন্দের শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন যশোরে ভুয়া ডাক্তার আটক করে কনস্টেবল সোহেল পেলেন নাগরিকবান্ধব দক্ষতা পুরস্কার নিজের ভুলে স্বপ্নভঙ্গ: চান্স পেয়েও বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে পারলেন না ভ্যানচালকের মেয়ে সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচে জয়ের জন্য বাংলাদেশের প্রয়োজন ২৮৬ রান ভোটের তারিখ এখনো নির্ধারিত হয়নি, যথাসময়ে জানানো হবে: সিইসি মোংলায় জমি দখল মামলায় পৌর বিএনপির সদস্য সচিব মানিকসহ চার ভাই কারাগারে

চবিতে ৯ ছাত্রীর বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার ও প্রক্টরের পদত্যাগ দাবিতে মানববন্ধন

  • আপডেট টাইম : রবিবার, ১৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ৭.১৪ অপরাহ্ণ
  • ৮১ বার

অনলাইন ডেক্স

শিক্ষক ও সাংবাদিক হেনস্তার দায়ে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) প্রশাসন কর্তৃক ৯ ছাত্রীকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার ও প্রক্টরের ‘নেতিবাচক’ মন্তব্যের প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। এ সময় বহিষ্কারাদেশকে ‘একপক্ষীয়’ সিদ্ধান্ত দাবি করে প্রক্টরের পদত্যাগের দাবি জানান তারা।রবিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে ১১টার দিকে চবির কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে শিক্ষার্থীরা মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেন। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর তানভির মোহাম্মদ হায়দার আরিফের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে করা মন্তব্যকে ‘কুরুচিপূর্ণ’ আখ্যা দিয়ে তার পদত্যাগ দাবি করা হয়।
মানববন্ধনে উপস্থিত ছাত্রীরা জানান, ছাত্ররা মেয়েদের হলের সামনে গিয়ে রাত ১১টার পরে শেখ হাসিনার ম্যুরাল ও নৌকা প্রতীক ভাঙচুর করলে তারা নিরাপত্তাহীনতায় ভোগেন। কিন্তু তখন প্রক্টরদের ফোন দিয়েও পাওয়া যায়নি।মানববন্ধনে রাজনীতি বিজ্ঞান বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী সাদিয়া আফরোজ তৃণা বলেন, ‘আমি ওই হলের আবাসিক শিক্ষার্থী। যেখানে প্রক্টরের দায়িত্ব ছিল আমাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, সেখানে তিনি বিশৃঙ্খলাকে উসকে দিয়েছেন।রাত ১২টায় একদল শিক্ষার্থী কিভাবে মেয়েদের হলের সামনে গিয়ে আতঙ্ক ছড়ায়? অথচ প্রশাসন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিয়ে আমাদের হলের মেয়েদেরই বহিষ্কার করেছে। এটি আমাদের জন্য অত্যন্ত লজ্জাজনক।’
ফারসি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের ২০২১-২২ সেশনের শিক্ষার্থী আল মাশনূন বলেন, ‘এই প্রশাসন একপক্ষীয় বিচার করে দায়িত্বহীনতার পরিচয় দিয়েছে। আমরা যারা এ সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে কথা বলেছি, তাদেরকে হানিট্র্যাপ বলে অপমান করা হয়েছে।আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাই এবং প্রশাসনের কাছে দাবি জানাই, তারা যেন বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করে এবং শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্যের জন্য ক্ষমা চায়। অন্যথায়, আমরা আরও কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করব।’
গত ৫ ফেব্রুয়ারি রাত সাড়ে ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শেখ হাসিনা হলে শেখ হাসিনার ম্যুরাল ও নৌকা প্রতীক ভাঙাকে কেন্দ্র করে ছাত্রদের সাথে ছাত্রীদের মুখোমুখি অবস্থান হয়। তখন উপস্থিত ক্যাম্পাস সাংবাদিকরা সংবাদ সংগ্রহের কাজে গেলে ছাত্রীদের বিরুদ্ধে সংবাদ সংগ্রহের কাজে বাধা ও লাঞ্ছনার অভিযোগ ওঠে।।এ সময় ছাত্রীদের সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডিরও বাগবিতণ্ডার ঘটনা ঘটে। এক পর্যায়ে সহকারী প্রক্টরকে চড় মারেন শেখ হাসিনা হলের এক ছাত্রী।
এ ছাড়া ছাত্ররা ওই হলের ছাত্রীদের বিরুদ্ধে মারধরের অভিযোগও করেছিলেন। পরে এ ঘটনায় তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। তদন্তকারীরা প্রশাসনের কাছে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিলে গত ১৪ ফেব্রুয়ারি (শুক্রবার) সন্ধ্যায় এক ছাত্রীর সনদ বাতিলসহ স্থায়ী বহিষ্কার ও ৯ ছাত্রীকে ২ বছরের জন্য বহিষ্কার করে প্রশাসন। আর এতেই পক্ষে-বিপক্ষে সমালোচনার সৃষ্টি হয়। 

Please Share This Post in Your Social Media

এ ক্যাটাগরীর আরো সংবাদ

Footer Widget

Footer Widget

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

© 2019, All rights reserved.
Design by Raytahost.com