পটুয়াখালী প্রতিনিধি:
পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলায় বুনো মহিষের মাংস ভাগ করার সময় হাতেনাতে আটক হয়েছে মহিষ চোর সিন্ডিকেটের সদস্য ইস্রাফিল শিকদার (৩৫)। সোমবার (৪ মার্চ) দুপুরে উপজেলার চরমোন্তাজ ইউনিয়নের চর আন্ডা গ্রামে নিজ বাসা থেকে প্রায় ৫ কেজি বুনো মহিষের মাংস ও চামড়া সহ তাকে আটক করা হয়। আটক ইস্রাফিল ওই গ্রামের আলী আহম্মেদ শিকদারের ছেলে।
এ ঘটনায় সোনার চর বিট কর্মকর্তা বাদী হয়ে ১১ জনের বিরুদ্ধে রাঙ্গাবালী থানায় মামলা দায়ের করেছেন। মামলার এজাহারে বলা হয়, সোনার চর বিটে বন বিভাগের মালিকানাধীন বুনো মহিষ এর আগেও স্থানীয় কাইয়ুম শিকদারের ট্রলারযোগে চুরি করা হয়েছিল। একই কায়দায় এবারও ১১ জনের একটি চোরের সিন্ডিকেট ট্রলারযোগে বনে প্রবেশ করে, একটি মহিষ ফাঁদে আটকে জবাই করে এবং পার্শ্ববর্তী চর আন্ডায় নিজেদের বাড়িতে নিয়ে আসে।
চুরি করা মহিষের মাংস ভাগ করার সময় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশের সহায়তায় ইস্রাফিল শিকদারকে ৫ কেজি মাংস ও চামড়াসহ হাতেনাতে আটক করা হয়। মামলার অন্য আসামিরা হলেন—কামাল শিকদার (৫০), আমজাদ মল্লিক (৩৫), মোহাম্মদ খা (৩৫), কাওসার খান (৩২), মামুন খান (২৪), মোঃ ইদ্রিস (৬৫), বাদল প্যাসা (৩৬), জাহেদ শিকদার (৪৫) এবং বাবুল হাওলাদার (৪২)। সকল আসামি চরমোন্তাজ ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের স্থায়ী বাসিন্দা।
সোনার চর বিট কর্মকর্তা একেএম ফজলুল হক বলেন, “লোকবল সংকট ও দুর্গম বনাঞ্চলের কারণে মহিষ চুরির সঙ্গে জড়িতদের এতদিন ধরতে পারিনি। তবে আজ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রাঙ্গাবালী থানার পুলিশের সহায়তায় চক্রের একজনকে আটক করতে সক্ষম হয়েছি। ইসরাফিল তার স্বীকারোক্তিতে যাদের জড়িত থাকার কথা বলেছে, শুধু তাদের বিরুদ্ধেই আমি বাদী হয়ে মামলা করেছি।”
রাঙ্গাবালী থানার অফিসার ইনচার্জ এমারৎ হোসেন বলেন, “বুনো মহিষ চুরিতে জড়িত এই সিন্ডিকেটের ওপর বেশ কিছুদিন নজরদারি চালানো হচ্ছিল। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে এক সদস্যকে আটক করা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদে সে আরও ১০ জনের সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করেছে। চক্রের বাকি সদস্যদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত থাকবে।”
Leave a Reply