নিজস্ব প্রতিবেদক :
বাংলাদেশ-চীন কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে চীনের উপহারে নির্মিতব্য ১০০০ শয্যার হাসপাতালটি গাইবান্ধায় স্থাপনের দাবিতে গাইবান্ধায় এক সংহতি সভার আয়োজন করা হয়েছে। শনিবার (১৯ এপ্রিল) গাইবান্ধা পৌর শহীদ মিনার চত্বরে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় জেলা প্রশাসক চৌধুরী মোয়াজ্জম আহম্মদ ছাড়াও জেলার রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক, চিকিৎসক ও ছাত্র সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
বক্তারা বলেন, গাইবান্ধা দেশের সবচেয়ে অবহেলিত জেলার একটি। এখানে নেই কোনো শিল্প-কারখানা, কর্মসংস্থানের সুযোগ কিংবা আধুনিক চিকিৎসা ব্যবস্থা। ফলে সাধারণ মানুষকে একটু উন্নত চিকিৎসার জন্য রংপুর কিংবা রাজধানী ঢাকায় ছুটতে হয়। অথচ এখানে পর্যাপ্ত সরকারি জমি ও অবকাঠামোগত সুবিধা রয়েছে, যেখানে চীনের সহায়তায় ১০০০ শয্যার একটি আধুনিক হাসপাতাল গড়ে তোলা সম্ভব।
বক্তারা আরও বলেন, গাইবান্ধায় এই হাসপাতাল নির্মিত হলে শুধু এ জেলার নয়, বরং বৃহত্তর রংপুর অঞ্চলের লাখো মানুষ চিকিৎসাসেবা থেকে উপকৃত হবেন। এটি চীন-বাংলাদেশ মৈত্রীর এক গুরুত্বপূর্ণ প্রতীক হিসেবেও বিবেচিত হবে।
সভায় বক্তব্য দেন সাংস্কৃতিক সংগঠক আলমগীর কবীর বাদল, গাইবান্ধা প্রেসক্লাবের সভাপতি অমিতাভ দাশ হিমুন, জেলা বিএনপির সভাপতি ডা. মইনুল হাসান সাদিক, সাধারণ সম্পাদক মো. মাহামদুন্নবী টিটুল, সিভিল সার্জন ডা. মো. রফিকুজ্জামান, চিকিৎসক নেতা ফেরদৌস হোসেন মঞ্জু, ডা. শামসুজ্জোহা সাজু, ডা. আসাদুজ্জামান সাজু, ব্যবসায়ী নেতা মকসুদার রহমান শাহান, জেলা জামায়াতের নায়েবে আমীর বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল ওয়ারেছ সরকার, সহকারী সম্পাদক ফয়সাল কবির রানা, ছাত্রশিবিরের জেলা সভাপতি ফেরদৌস ইসলাম রুম্মন, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি খন্দকার জাকারিয়া জিম প্রমুখ।
ছাত্র-জনতার পক্ষে সভা পরিচালনা করেন ফিহাদুর রহমান দিবস।
বক্তারা সরকারের কাছে জোর দাবি জানান, চীনের এই মহৎ উদ্যোগের সুফল যেন গাইবান্ধার মতো পশ্চাৎপদ ও অবহেলিত জেলার জনগণের কাছে পৌঁছায়। এজন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানানো হয়।
Leave a Reply