মঙ্গলবার, ০৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৫:২০ পূর্বাহ্ন

ঈদুল আজহা ৭ জুন: কোরবানির আনন্দে সচেতনতা ও সতর্কতার বার্তা

  • আপডেট টাইম : শুক্রবার, ৩০ মে, ২০২৫, ৮.৩৬ অপরাহ্ণ
  • ১৪৩ বার

ডেক্স নিউজ :

বাংলাদেশের মুসলিম ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম বৃহৎ ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল আজহা আগামী ৭ জুন, শনিবার উদযাপিত হবে। হজের মৌসুমের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে এবং ত্যাগের মহান আদর্শকে ধারণ করে উদযাপিত হয় এই ঈদ, যা ধর্মীয় গুরুত্ব ও আনুষ্ঠানিকতার দিক থেকে ‘বড় ঈদ’ হিসেবেই পরিচিত।

ঈদুল আজহার প্রধান অনুষঙ্গ হলো কোরবানি। ১০ থেকে ১২ জিলহজের মধ্যে ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা নির্দিষ্ট গৃহপালিত পশু আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে কোরবানি করে থাকেন। এই সময়টাকে ঘিরে শুরু হয় ঈদের প্রস্তুতি, যার অন্যতম রূপ কোরবানির পশুর হাট।

পশুর হাট মানেই শুধু কেনাবেচা নয়, এটি হয়ে ওঠে এক বড় সামাজিক উৎসব। পরিবার-পরিজন মিলে পশু কিনতে যাওয়া, দরদাম করা ও বাড়ি ফেরার মুহূর্তগুলো ঈদের আনন্দে ভিন্ন মাত্রা যোগ করে। তবে এ আনন্দের পাশাপাশি থাকতে হয় সচেতনতা। প্রতারণা, দালালচক্র, জাল নোট, পশুর অসুস্থতা, বৈরি আবহাওয়াসহ নানা বিপত্তির শিকার হলে ঈদের আনন্দ ম্লান হয়ে যেতে পারে।

পশু কেনার আগে বিভিন্ন হাট ঘুরে দেখে নিন, দাম ও গুণগত মান তুলনা করুন। কোনো সিদ্ধান্ত হুট করে নেবেন না। কৃত্রিমভাবে মোটাতাজা করা পশু অনেক সময় স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করতে পারে। পশুর চোখ, দাঁত, লেজ, শিং ও চলাফেরার ধরন দেখে সুস্থতা যাচাই করুন। লেনদেনের সময় নোট যাচাই করুন। হাটে অস্থায়ী ব্যাংক বুথ ব্যবহার করুন। ফুটপাত, রাস্তার পাশ বা অস্থায়ী অবৈধ স্থানে পশু কিনলে চোরাই বা অসুস্থ পশুর ঝুঁকি থাকে।  কেউ যদি আপনার দরদামের বাইরে বেশি দাম হাঁকে, বুঝবেন সে ফড়িয়া।

প্রতারকদের কাছ থেকে সাবধান থাকুন। পশু পরিবহনে নিয়োজিত ব্যক্তির জাতীয় পরিচয়পত্র ও মোবাইল নম্বর সংগ্রহ করুন, প্রয়োজনে ছবি তুলুন। হাটে গেলে অবশ্যই মাস্ক ব্যবহার করুন, স্যানিটাইজার সঙ্গে রাখুন, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখুন। পানির ব্যবস্থা রাখুন, বিশ্রাম নিন এবং হিটস্ট্রোক এড়াতে সতর্ক থাকুন। কাদা ও গোবর থেকে সংক্রমণ এড়াতে পা ঢাকা রাখুন, হাট থেকে ফিরে সাবান দিয়ে ভালোভাবে ধুয়ে ফেলুন।

সরকারি উদ্যোগে এবারও অনলাইন কোরবানির পশুর বাজার চালু থাকবে। তবে পরিচিত, যাচাইকৃত প্ল্যাটফর্ম থেকে কিনুন। পশুর ছবি, ওজন, বয়স, দাম ভালোভাবে যাচাই করুন।

প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের তথ্য অনুযায়ী, এবার দেশে কোরবানিযোগ্য গবাদিপশুর সংখ্যা প্রায় ১ কোটি ২৪ লাখ। চাহিদার তুলনায় ২০ লাখ পশু উদ্বৃত্ত থাকবে। ফলে পশু আমদানির প্রয়োজন নেই এবং অবৈধ পশু প্রবেশ ঠেকাতে থাকবে কঠোর নজরদারি।

কোরবানির পশুর হাট একদিকে যেমন ধর্মীয় আয়োজন, অন্যদিকে তা সামাজিক আনন্দের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এই আনন্দ যাতে নিরাপদ, স্বাস্থ্যসম্মত ও প্রতারণামুক্ত হয়, সে জন্য দরকার সচেতনতা ও প্রস্তুতি।

 

 

Please Share This Post in Your Social Media

এ ক্যাটাগরীর আরো সংবাদ

Footer Widget

Footer Widget

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

© 2019, All rights reserved.
Design by Raytahost.com