রবিবার, ০৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৬:৪২ অপরাহ্ন
Title :
যারা বলে এবার আমাদের দেখুন, মানুষ তাদের ১৯৭১ সালে দেখেছে : তারেক রহমান ৩ দলের সমন্বয়ে নতুন জোটের আত্মপ্রকাশ সেনাবাহিনীর সৈনিক পদে যোগদানের বয়সসীমা বৃদ্ধি উপদেষ্টাদের কেউই পদে থেকে নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না : ইসি সানাউল্লাহ ১৯৯ কোটি টাকায় বায়তুল মোকাররমের সৌন্দর্যবর্ধন করা হবে : ধর্ম উপদেষ্টা এই মুহূর্তটার জন্যই অপেক্ষায় ছিলেন মেসি, নির্ঘুম রাতের অবসান বেকহামের তিন জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত নায়িকা নিয়ে সিনেমা ‘দ্য ডিফিকাল্ট ব্রাইড’ মৃত্যুর পর মুক্তি পেল জেমস সুমনের গান ৩ দেশের সঙ্গে সামরিক চুক্তি বাতিল করল রাশিয়া গাজাকে বিচ্ছিন্ন ইস্যু হিসেবে দেখা যাবে না: সৌদি আরব

প্রায় কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে শাহীন চাকলাদারসহ চারজনের বিরুদ্ধে মামলা

  • আপডেট টাইম : মঙ্গলবার, ৮ জুলাই, ২০২৫, ৬.৩৪ অপরাহ্ণ
  • ২৭৭ বার

কেশবপুর সংবাদদাতা :

যশোরের কেশবপুরে একটি কলেজ ও একটি স্কুলে এমপিওভুক্তকরণসহ নানা সুবিধা পাইয়ে দেওয়ার নামে প্রতারণার মাধ্যমে ৮৪ লাখ ৪৫ হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগে সাবেক সংসদ সদস্য ও যশোর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহীন চাকলাদারসহ চারজনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (৮ জুলাই) শহীদ লে. মাসুদ মেমোরিয়াল কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ মশিয়ার রহমান এই মামলাটি দায়ের করেন।

মামলার অন্য তিন আসামি হলেন—শাহীন চাকলাদারের পিএস আলমগীর সিদ্দিকি টিটো, তার স্ত্রী শামীমা পারভিন রুমা এবং মাগুরখালী গ্রামের মৃত সোবহান গাজীর ছেলে রবিউল ইসলাম।

বাদীপক্ষের আইনজীবী তাহমিদ আকাশ জানান, অভিযোগ আমলে নিয়ে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আঞ্জুমান আরা বেগম মামলাটি তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য পিবিআইকে নির্দেশ দিয়েছেন।

মামলার এজাহারে বলা হয়, এমপি থাকাকালীন শাহীন চাকলাদার ও অপর আসামিরা নিয়োগ ও বদলি বাণিজ্য, এমপিওভুক্তকরণসহ নানা সুবিধা পাইয়ে দেওয়ার নামে অর্থ আদায় করতেন। বাদী তখন শহীদ লে. মাসুদ মেমোরিয়াল কলেজের অধ্যক্ষ এবং রেজাকাটি শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ছিলেন।

তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করলে আসামিরা কলেজের বিএ এবং বিএমপি শাখা এবং কৃষি ডিপ্লোমা শিক্ষকদের এমপিও করিয়ে দেওয়ার জন্য ৬৪ লাখ ৪৫ হাজার টাকা এবং স্কুলের মাধ্যমিক শাখার জন্য আরও ২০ লাখ টাকা দাবি করেন।

২০২০ সালের ২ অক্টোবর থেকে ২০২১ সালের ৩০ আগস্টের মধ্যে দফায় দফায় এসব টাকা শাহীন চাকলাদার ও অন্য আসামিদের হাতে দেওয়া হয়। তারা মেশিনে গুনে টাকা গ্রহণ করেন বলেও অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে।

তারা ২০২১-২২ সালের মধ্যে এসব কাজ সম্পন্ন করার প্রতিশ্রুতি দিলেও পরবর্তীতে তা আর করেননি। বরং নানা তালবাহানার পর জানান—কাজ আর হবে না। মন্ত্রণালয়ে খোঁজ নিয়ে বাদী নিশ্চিত হন, ওই চারজন টাকা ভাগাভাগি করে আত্মসাৎ করেছেন।

মামলায় আরও উল্লেখ করা হয়, টাকার বিষয়ে প্রতিবাদ করতে চাইলে বাদীকে মামলা ও হামলার হুমকি দেওয়া হয়। সর্বশেষ ২০ জুন বাদী টাকা ফেরত চাইলে টিটো ও তার স্ত্রী তা ফিরিয়ে দেবেন না বলে জানান এবং ক্ষমতাসীন দলের প্রভাব দেখিয়ে ভয়ভীতি দেখান।

পরিস্থিতি বিবেচনায় বাদী আদালতের শরণাপন্ন হয়ে মামলাটি করেন।

Please Share This Post in Your Social Media

এ ক্যাটাগরীর আরো সংবাদ

Footer Widget

Footer Widget

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

© 2019, All rights reserved.
Design by Raytahost.com