ডেক্স নিউজ :
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, সরকার ডিসেম্বরের মধ্যেই নির্বাচন-সম্পর্কিত সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করতে চায়। তবে নির্বাচন কখন অনুষ্ঠিত হবে, সে সিদ্ধান্ত নিবে নির্বাচন কমিশন।
শনিবার (১২ জুলাই) পুরান ঢাকার মিল ব্যারাকে অবস্থিত ঢাকা জেলা পুলিশ লাইন, রেঞ্জ রিজার্ভ ফোর্স (আরআরএফ) এবং ট্রাফিক অ্যান্ড ড্রাইভিং স্কুল (টিডিএস) পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। এসময় পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলমসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, “এখানে আসার মূল উদ্দেশ্য ছিল পুলিশ সদস্যদের সঙ্গে কথা বলা, থাকা-খাওয়ার মান যাচাই করা এবং নির্বাচন ঘিরে প্রশিক্ষণের বিষয়ে প্রস্তুতি নেওয়া। নির্বাচন কমিশন কবে তারিখ দেবে সেটা আমরা জানি না, কিন্তু আমরা ডিসেম্বরের মধ্যেই আমাদের প্রস্তুতি সম্পন্ন করতে চাই।”
ঢাকায় ব্যবসায়ী মোহাম্মদ চাঁদ মিয়া ওরফে সোহাগ হত্যাকাণ্ড প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “এটি একটি অত্যন্ত দুঃখজনক ঘটনা। আমরা ইতোমধ্যে ৫ জনকে গ্রেপ্তার করেছি। গোয়েন্দা সংস্থাগুলো তদন্তে কাজ করছে। যারা এখনও ধরাছোঁয়ার বাইরে, তাদেরও আইনের আওতায় আনা হবে।”
সাংবাদিকদের প্রশ্নে তিনি আরও বলেন, “আমরা কিন্তু এখন অনেক অসহিষ্ণু হয়ে গেছি। ছোটখাটো ঘটনা ঘটলেই মানুষ উত্তেজিত হয়ে পড়ে। সমাজের সব শ্রেণির মানুষকে এগিয়ে এসে এই প্রবণতা ঠেকাতে হবে।”
সোহাগ হত্যার সময় পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠলে তিনি বলেন, “সঙ্গে সঙ্গেই আমরা ব্যবস্থা নিয়েছি। আপনারা যদি সহযোগিতা করেন, তাহলে কোনো কাজ অসম্ভব নয়।”
চাঁদাবাজি ও সার্বিক আইনশৃঙ্খলা অবনতির অভিযোগের বিষয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, “আমরা চাঁদপুরের ঘটনায় জড়িতদের আইনগত প্রক্রিয়ায় এনেছি। এমনকি গতকাল কাঠমান্ডুগামী বিমানে বোমা থাকার ভুয়া তথ্য দিয়ে আতঙ্ক ছড়ানোর ঘটনায়ও আমরা মূল হোতাসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছি।”
তিনি আশ্বাস দেন, যেকোনো অপরাধ বা বিশৃঙ্খলা ঘটনার পরপরই সরকার ব্যবস্থা নিচ্ছে এবং ভবিষ্যতেও এ ধারা অব্যাহত থাকবে।
এই সফরের মাধ্যমে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে নির্বাচনী প্রস্তুতি, আইনশৃঙ্খলা রক্ষা এবং জননিরাপত্তা নিশ্চিতে সরকারের সদিচ্ছা ও অগ্রগতি স্পষ্ট হলো বলেই মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
Leave a Reply