যশোর সংবাদদাতা :
যশোরের শার্শা উপজেলায় পেট্রোল পাম্প দখল নিয়ে চরম উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে। স্থানীয় বিএনপি নেতা আনোয়ার হোসেন ওরফে আইনালের বিরুদ্ধে সন্ত্রাস, জালিয়াতি এবং রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে দখলের চেষ্টা চালানোর অভিযোগ উঠেছে। ভুক্তভোগী পরিবার দাবি করেছে, তাদের দীর্ঘদিনের বৈধ মালিকানা উপেক্ষা করে জাল দলিল, নকল স্বাক্ষর এবং সশস্ত্র হামলার মাধ্যমে ফিলিং স্টেশনটি দখলের চেষ্টা চলছে।
রোববার দুপুরে যশোর প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে ফিলিং স্টেশনটির মালিকের মেয়ে তনিমা তাসনুমা এসব অভিযোগ তুলে ধরেন। তিনি জানান, তার পিতা গোলাম কিবরিয়া ১৯৯৫ সালে বৈধভাবে জমি ক্রয় করে ‘মেসার্স গোলাম কিবরিয়া ফিলিং স্টেশন’ স্থাপন করেন। পিতার মৃত্যুর পর ২০২৩ সাল থেকে বিএনপি নেতা আনোয়ার হোসেন এবং তার সহযোগীরা ধারাবাহিকভাবে জাল দলিল তৈরি করে দখলের চেষ্টা চালাচ্ছেন।
তনিমা তাসনুমা অভিযোগ করে বলেন, “ওরা শুধু জাল দলিল বানায়নি, বিচারকের স্বাক্ষর জাল করে হস্তান্তর চুক্তিপত্রও তৈরি করেছে। এসব ঘটনায় আমরা ও বিচারক পৃথকভাবে মামলা করেছি। মামলা চলমান থাকা সত্ত্বেও তারা আরও বেপরোয়া হয়ে উঠেছে।” তিনি আরও জানান, সর্বশেষ গত ১৯ সেপ্টেম্বর আনোয়ার হোসেনের নেতৃত্বে একটি দল জোরপূর্বক ফিলিং স্টেশনে প্রবেশ করে ব্যবস্থাপককে বের করে দেয় এবং চাবি ও গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র ছিনিয়ে নেয়।
ভুক্তভোগী পরিবার অভিযোগ করেছে, স্থানীয় পুলিশকে জানানো হলেও রাজনৈতিক প্রভাবের কারণে অভিযুক্তরা পার পেয়ে যাচ্ছে। তারা প্রশাসনের কাছে নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ ও সম্পদ রক্ষার দাবিতে জোর আহ্বান জানিয়েছেন।
অন্যদিকে, অভিযুক্ত বিএনপি নেতা আনোয়ার হোসেন অভিযোগ অস্বীকার করে দাবি করেছেন, তিনি ৬ কোটি ৮ লাখ টাকায় জমি ও ফিলিং স্টেশন ক্রয় করে ১৯৯৯ সাল থেকে তা পরিচালনা করছেন। তার ভাষ্য, চলতি বছরের এপ্রিল পর্যন্ত পাম্পটি তার দখলে ছিল, কিন্তু প্রতিপক্ষ রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক প্রভাব খাটিয়ে এটি দখল করে নিয়েছে।
এ বিষয়ে শার্শা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুল আলিম জানান, ভুক্তভোগীদের লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেছে এবং বিষয়টি তদন্তাধীন রয়েছে।
Leave a Reply