নিজস্ব প্রতিবেদক :
ঝিনাইদহের মহেশপুরে উপজেলা আনসার ভিডিপি কর্মকর্তা খুশি খাতুনের বিরুদ্ধে ইউনিয়ন দলনেতা(ইউনিয়ন কমান্ডার) বানাতে দেড় লাখ টাকা ঘুষ দাবির অভিযোগ উঠেছে। খুশি খাতুনের ঘুষ দাবির অভিযোগ এনে আনসার ভিডিপির মহাপরিচালক(ডিজি) বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী আনসার সদস্য শাহিন। আনসার ভিডিপি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগের একটি কপি এই প্রতিবেদকের কাছে সংরক্ষিত আসে।
শাহিনের লিখিত অভিযোগে জানা যায, শাহিনের পিতা স্বরুপপুর ইউনিয়নের সাবেক ইউনিয়নের দলনেতা সরফরাজ শাহ তিনি দীর্ঘ ৩০/৩৫ বছর ধরে সততার সাথে এই ইউনিয়নে দলনেতা হিসাবে কাজ করেছেন। ২০২৪ সালে বার্ধক্য জনিত কারনে তাকে ইউনিয়ন দলনেতা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। শাহিন ও তার ছোট ভাই লিখন দুজনেই আনসার ভিডিপির সদস্য হিসাবে ২১ দিনের অস্ত্র প্রশিক্ষন নিয়েছেন। এবং ভিডিপি সদস্য হিসাবে কাজ করে যাচ্ছে। পিতা ইউনিয়ন দলনেতা থাকা অবস্থায় তার কাজে সহযোগিতা করাসহ অফিসে যাতায়াত বেশি ছিলো শাহিনের।
সরফরাজের অব্যাহতির পর ইউনিয়নের ভিডিপি সদস্যরা শাহিনকে তার পিতার স্থানে চাই এমনি প্রস্তাবে অসুস্থ সরফরাজ শাহিনকে নিয়ে অফিসে যায়। শাহিনকে ইউনিয়ন দলনেতা করার অনুরোধ করেন ভিডিপি কর্মকর্তা খুশি খাতুনের কাছে। খুশি খাতুন বলেন দলনেতা হতে হলে দেড় লাখ টাকা লাগবে, টাকা দিলে দেখা যাবে দলনেতা করা যায় কিনা। এমন কথা শোনার পর শাহিনের পিতা সরফরাজ বলেন এত টাকা কোথায় পাবো ,কোথা থেকে দেবো আমি গরিব মানুষ বলে খুশি খাতুনের পা চেপে ধরেন।
তিনি বলেন, ছেলে দলনেতা ট্রেনিংয়ে যাবার পর ৫০ হাজার টাকা দেবো আপনাকে। পা ছাড়িয়ে খুশি খাতুন বলেন দেড় লাখ টাকা দিতে পারলে অফিসে আসবেন না পারলে এ বিষয় নিয়ে আর অফিসে আসবেন না বলে তাড়িয়ে দেন। অফিস থেকে বের করে দেওয়া ও দলনেতা হতে দেড় লাখ টাকা ঘুষ চাওয়ার বিষয়টি সাবেক ইউনিয়ন দলনেতাদের জানালে তারা মহাপরিচালক বরাবর অভিযোগ করতে বললে শাহিন মহাপরিচালক বরাবর লিখিত অভিযোগ করেন।
এ বিষয়ে উপজেলা অনসার ভিডিপি কর্মকর্তা খুশি খাতুনকে মুঠোফোনে কল দিলে সাংবাদিক পরিচয় পাওয়ার পর কল কেটে দেন। হোয়াটসএ্যাপে খুদে বার্তা পাঠালেও তিনি কোন উত্তর দেননি।
Leave a Reply