কুষ্টিয়া প্রতিনিধি :
কেরুজ শ্রমিক-কর্মচারী ইউনিয়নের চলতি বছরের দ্বি-বার্ষিক নির্বাচন নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা ছড়িয়ে পড়েছে শুধু কুষ্টিয়া জেলায় নয়, গোটা দেশে। শ্রমিক-কর্মচারিদের ন্যায্য অধিকার নিশ্চিত করা এখনও অনিশ্চিত। একের পর এক আইনি জটিলতা নির্বাচন কার্যক্রমকে থমকে রেখেছে।
নির্বাচন পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান আব্দুছ ছাত্তার ১২ আগস্ট আঞ্চলিক শ্রম অধিদপ্তরের সহকারি পরিচালক বরাবর পত্র প্রেরণ করে দ্বি-বার্ষিক নির্বাচনের তত্ত্ববধানে প্রতিনিধি প্রেরণের অনুরোধ জানান। এরপর ১৪ আগস্ট সহকারি পরিচালক তৌফিক হোসেন সদর দপ্তরের মহাপরিচালকের কাছে নির্দেশনা চেয়ে পত্র প্রেরণ করেন। উপ-পরিচালক খোরশেদ আলম যোগদানের পর কেরুজ চিনিকলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও নির্বাচনী পরিচালনা পর্ষদের সঙ্গে বৈঠক করেন।
২৫ সেপ্টেম্বর খোরশেদ আলম স্বাক্ষরিত পত্রে জানানো হয়, শ্রমিক অধিদপ্তরের মহাপরিচালক যদি নির্বাচনের কার্যক্রম পুনরায় গ্রহণ করেন, কেরুজ কর্তৃপক্ষ পূর্ণ সহযোগিতা প্রদান করবে। ৬ অক্টোবর নির্বাচন পরিচালনা পর্ষদ, ব্যবস্থাপনা পরিচালক, মেয়াদ উত্তীর্ণ কমিটির সভাপতি ও শ্রমিক নেতাদের নিয়ে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। তবে সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ত্রি-পক্ষীয় বৈঠকে কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া যায়নি।
৭ অক্টোবর হাই কোর্টের নির্দেশনা মোতাবেক নির্বাচন সম্পন্ন করার আদেশ থাকলেও বিভিন্ন আইনি জটিলতার কারণে ভোট স্থগিত রাখা হয়। ১৪ মার্চের ভোটের জন্য সব প্রস্তুতি শেষ হওয়ার কয়েক দিন আগে ১১ মার্চ তা স্থগিত ঘোষণা করা হয়। এরপর কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করা হলে শ্রমিক-কর্মচারিরা অভিভাবকহীন হয়ে পড়ে।
অধিকারহীন শ্রমিকরা ভোটের পক্ষে ও বিপক্ষে নেতাদের দৌড়ঝাপের মধ্যে থেকেও ন্যায্য অংশগ্রহণ থেকে বঞ্চিত। বর্তমানে কেরুজ শ্রমিক-কর্মচারী ইউনিয়নের নির্বাচন কখন অনুষ্ঠিত হবে তা অনিশ্চিত। ভোটে যারা নেতৃত্ব নেবেন এবং শ্রমিকদের ন্যায্য অধিকার নিশ্চিত করবেন, তা এখন সকলের মুখে মুখে প্রশ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে।
Leave a Reply