নিজস্ব প্রতিবেদক :
যশোরে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) গণশুনানিতে এক সরকারি কর্মচারীর অদ্ভুত ব্যাখ্যায় হাস্যরসের সৃষ্টি হয়। জেলা পরিষদের দোকান বরাদ্দের নামে ঘুষ দাবির অভিযোগের জবাবে উচ্চমান সহকারী আলমগীর হোসেন দাবি করেন, “আমি ঘুষ খাইনি; দাওয়াত খেয়েছি, আর পাকা কলা খেয়েছি।”
রোববার যশোর জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে দুদক চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ আবদুল মোমেন ও কমিশনার (তদন্ত) মিঞা মুহাম্মদ আলি আকবার আজিজীর উপস্থিতিতে অনুষ্ঠিত গণশুনানিতে বাগআঁচড়া এলাকার বাসিন্দা আনোয়ারুল ইসলাম এই অভিযোগ আনেন।
তিনি বলেন, জেলা পরিষদের দোকান বরাদ্দের নামে আলমগীর হোসেন তার কাছে ঘুষ দাবি করেছেন। ঘুষ না দেওয়ায় বরাদ্দের ডিসিআর রশিদ ফেরত নিয়ে যান তিনি।
অভিযোগের জবাবে আলমগীর হোসেন বলেন, “আনোয়ারুল ইসলাম আমাকে ছেলের বিয়েতে দাওয়াত দিয়েছিলেন। আমি দাওয়াত খেতে গিয়েছিলাম। তিনি আমাকে কলা দিয়েছেন, আমি কলা খেয়েছি—ঘুষ নেইনি।” তার এমন মন্তব্যে উপস্থিত কর্মকর্তারা ও দর্শকরা হাসতে থাকেন।
ঘটনার পর দুদক চেয়ারম্যান দোকান বরাদ্দের নামে অনৈতিক সুবিধা নেওয়ার অভিযোগে আলমগীর হোসেনকে সাময়িক বরখাস্ত করে অভিযোগ তদন্তের নির্দেশ দেন জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এসএম শাহীনকে।
Leave a Reply