বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আপিলে পক্ষভুক্ত হয়েছেন। মঙ্গলবার (২ ডিসেম্বর) প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ তার পক্ষভুক্ত হওয়ার আবেদন অনুমোদন করে।
বিএনপি মহাসচিবের পক্ষে আদালতে শুনানি করেন ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল।
১৩ নভেম্বর হাইকোর্ট তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিলসহ সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনীতে আনা কয়েকটি বিধান অবৈধ ঘোষণা করে।
হাইকোর্টের রায়ে বলা হয়েছিল, গণতন্ত্র সংবিধানের মৌলিক কাঠামোর অংশ, যা সংরক্ষণের জন্য তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল।
হাইকোর্টের রায়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বিলুপ্তি-সংক্রান্ত পঞ্চদশ সংশোধনী আইনের ২০ ও ২১ অনুচ্ছেদ, সংবিধানের মৌলিক কাঠামোর সঙ্গে সাংঘর্ষিক হিসেবে বাতিল ঘোষণা করা হয়।
পঞ্চদশ সংশোধনীর ৭ ক, ৭ খ ও ৪৪ (২) অনুচ্ছেদ বাতিল করা হয়েছে।
গণভোটের বিধান সংবিধানের মৌলিক কাঠামোর সঙ্গে অসামঞ্জস্যপূর্ণ হওয়ায় বাতিল করা হয়েছে এবং দ্বাদশ সংশোধনীর ১৪২ অনুচ্ছেদ পুনর্বহাল করা হয়েছে।
পঞ্চদশ সংশোধনী আইনের বাকি বিধানগুলি বাতিল হয়নি; এগুলো আগামী জাতীয় সংসদ সংশোধন, পরিমার্জন ও পরিবর্তনের মাধ্যমে প্রয়োগ করতে পারবে।
রিটকারী সুজনের সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার পক্ষে ছিলেন ড. শরীফ ভূঁইয়া।
রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদ উদ্দিন।
বিএনপি পক্ষে ছিলেন সিনিয়র আইনজীবী জয়নুল আবেদীন, ব্যারিস্টার কায়সার কামাল, ব্যারিস্টার বদরুদ্দোজা বাদল, ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল, অ্যাডভোকেট ফারজানা শারমিন পুতুল।
জামায়াতের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির ও ব্যারিস্টার এহসান সিদ্দিকী।
২০১১ সালের ৩০ জুন জাতীয় সংসদে পাস।
শেখ মুজিবুর রহমানকে জাতির জনক হিসেবে স্বীকৃতি।
তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল।
নারীদের জন্য সংরক্ষিত আসন সংখ্যা ৪৫ থেকে ৫০ করা।
সংবিধানে আরও কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ সংশোধনী অন্তর্ভুক্ত।
বৃহৎ রাজনৈতিক প্রভাবের এই আপিল পর্যবেক্ষণ আগামী সময়ে বাংলাদেশের সংবিধান ও নির্বাচনী ব্যবস্থার ওপর গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলবে।
Leave a Reply