ঘুম থেকে ওঠার সঙ্গে সঙ্গেই কফি খাওয়ার অভ্যাস অনেকেরই আছে, তবে এটি স্বাস্থ্যকর নয়। বিশেষজ্ঞদের মতে, ঘুম থেকে উঠে সরাসরি কফি খাওয়া দেহের পানির চাহিদা মেটায় না। ঘুমের পর দেহে পানির প্রয়োজন বেশি থাকে, তাই এই সময়ে পানি বা অন্যান্য হালকা পানীয় গ্রহণ করা উচিত।
সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর দেহে প্রাকৃতিকভাবে কর্টিসল হরমোনের মাত্রা বেশি থাকে। এই হরমোন আমাদের কর্মক্ষম হয়ে ওঠার জন্য প্রয়োজনীয়। তাই এই সময়ে কফি খেলে অতিরিক্ত উদ্দীপনার কারণে অস্থিরতা দেখা দিতে পারে। বরং দিনের মধ্যভাগে, যখন কর্টিসলের মাত্রা কমতে শুরু করে, তখন কফি খাওয়া সুবিধাজনক।
খালি পেটে কফি খেলে কিছু মানুষ অ্যাসিডিটি বা হজমজনিত সমস্যা অনুভব করতে পারেন। খাবারের সঙ্গে কফি খাওয়ার পরও হজমজনিত অসুবিধা হতে পারে। এছাড়া কিছু ওষুধের সঙ্গে কফি খাওয়ার সময় সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত। বিশেষজ্ঞরা পরামর্শ দেন, ওষুধ খাওয়ার কমপক্ষে দেড় ঘণ্টা পর কফি খাওয়া ভালো।
সকালে ঘুম থেকে ওঠার দুই-চার ঘণ্টা পর কফি খাওয়াই সঠিক। এই সময়ে এক কাপ কফি কাজের মনোযোগ ও উদ্যম বাড়াতে সাহায্য করে। বিকেলের প্রথম ভাগেও কফি খাওয়া যেতে পারে, যা সন্ধ্যা পর্যন্ত শক্তি ধরে রাখতে সহায়ক। ব্যায়ামের এক-দেড় ঘণ্টা আগে কফি খেলে পূর্ণোদ্যমে শারীরিক কার্যক্রম করা সম্ভব।
কফির পরিমাণ নিয়েও সতর্ক থাকা প্রয়োজন। গড়ে দু-তিন কাপের বেশি কফি না খাওয়াই ভালো। বড় মগে কফি খেতে চাইলে সেটি দু-তিনবারের মধ্যে কেবল একবারের জন্যই গ্রহণ করুন। ক্যাফেইনের প্রতি সংবেদনশীল ব্যক্তিদের জন্য পরিমাণ আরও কম রাখা উচিত এবং হালকা ধরনের কফি বেছে নেওয়া উত্তম।
সুতরাং, সঠিক সময়ে এবং পরিমাণে কফি খাওয়াই স্বাস্থ্যকর এবং কার্যকরী। সকালে পানি পান, দুপুরে বা ব্যায়ামের আগে কফি এই নিয়ম মেনে চললে কফি আপনার শরীর ও মন দুটোই সতেজ রাখবে।
Leave a Reply