ইনস্টাগ্রামে ভাইরাল হয়েছে কনটেন্ট ক্রিয়েটর লুইস গানসন এর একটি পোস্ট। শিরোনাম ছিল “আমি একজন পকেটমারকে জিজ্ঞেস করেছি, তারা কাদের টার্গেট করেন। উত্তর শুনে আমি তখনই নিজের জ্যাকেট বদলেছি।” প্রকাশের পর অল্প সময়েই পোস্টটি ১২ মিলিয়ন ভিউ সংগ্রহ করেছে।
লুইস জানান, তিনি সম্প্রতি এক পেশাদার পকেটমারের সঙ্গে কথা বলেছেন। সেখানে জানতে চেয়েছেন চুরি করতে তারা ঠিক কেমন মানুষকে লক্ষ্য করেন? অনেকেই ভাবতে পারেন, ধনী ব্যক্তিরাই পকেটমারদের সবচেয়ে বড় লক্ষ্য। কিন্তু বাস্তবতা ভিন্ন। পকেটমার ধনী-গরিব নয়, সবচেয়ে সহজ টার্গেট বেছে নেয় অর্থাৎ যিনি সবচেয়ে অমনোযোগী ও অসাবধান।
পকেটমারের কাছ থেকে জানা লুইসের সেই তালিকা এখন নেটিজেনদের মাঝে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে। দেখা যাক, কারা সবচেয়ে বেশি লক্ষ্যবস্তু হন:
হাঁটতে হাঁটতে বা জনাকীর্ণ জায়গায় ফোনে ডুবে থাকা মানুষ সহজ টার্গেট। কারণ তাদের মনোযোগ থাকে চারপাশে নয়।
সরাসরি পকেটমারের ভাষায় “পেছনের পকেটে যা থাকে, আমরা মনে করি সেগুলো আমাদের।” ব্যাগের চেইন খোলা থাকলেও একই অবস্থা।
চিন্তায় ডুবে থাকা মানুষ পরিবেশে মনোযোগ দেন না, ফলে সহজে শিকার হন।
ব্যস্ততা ও তাড়াহুড়ার কারণে পকেটমারদের গতিবিধি টের পাওয়া কঠিন হয়ে পড়ে।
এই ধরনের পোশাকে অচেনা কেউ সহজে হাত ঢুকিয়ে কিছু নিয়ে যেতে পারে, আর ভুক্তভোগী টেরও পান না।
এতে চোর নিশ্চিত হয়ে যায় মূল্যবান জিনিসটি ঠিক কোথায় আছে।
পকেটমাররা জানে, দলের মধ্যে থাকা অসাবধান মানুষ অনেক কম খেয়াল করে। তাই তারা খুব সহজেই লক্ষ্যবস্তু হন।
ভাইরাল এই পোস্ট দেখে অনেকেই মন্তব্য করছেন যে তারা এখন বাইরে বের হওয়ার আগে পোশাক, ব্যাগ কিংবা আচরণ নিয়ে নতুন করে ভাববেন। লুইসের অভিজ্ঞতা প্রমাণ করে, সামান্য অসাবধানতাই বড় ক্ষতির কারণ হতে পারে।
Leave a Reply