সোমবার, ০৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৩:৫৩ পূর্বাহ্ন
Title :
পাকিস্তানের বিপক্ষে সহজ জয়ে এগিয়ে গেল বাংলাদেশ রোহিঙ্গাদের জন্য ১১ মিলিয়ন ডলার তহবিল ঘোষণা যুক্তরাজ্য ও কাতারের সরকারি অফিসে হয়রানি উত্তরণে চালু হচ্ছে ‘অ্যাপ’ দুর্নীতির বিরুদ্ধে অন্তর্বর্তী সরকার কঠোর অবস্থান নিতে পারেনি : ইফতেখারুজ্জামান ১৮তম কাউন্সিল অব দ্য কলেজ সভা অনুষ্ঠিত সুপ্রিম কোর্ট সচিবালয়ে ৪৮৯ পদে নিয়োগের সিদ্ধান্ত সীমান্তে যুদ্ধাবস্থা নেই অথচ মানুষকে গুলি করে মারা হয় : পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বিয়ের গুঞ্জনে পানি ঢাললেন কনা নির্বাচন-গণভোটের প্রস্তুতি নিয়ে প্রধান উপদেষ্টাকে অবহিত করলেন সিইসি তফসিল ঘোষণার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে পোস্টার না সরালে ব্যবস্থা

নিঃশর্ত ক্ষমা চাইলেন জেড আই খান পান্না

  • আপডেট টাইম : বুধবার, ৩ ডিসেম্বর, ২০২৫, ৩.০৫ অপরাহ্ণ
  • ৪১ বার

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল–১ এর নির্দেশে হাজির হয়ে নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জেড আই খান পান্না। বুধবার (৩ ডিসেম্বর) দুপুর পৌনে ১টার দিকে তিনি ট্রাইব্যুনালে উপস্থিত হয়ে ক্ষমা প্রার্থনা করেন।

জানা যায়, জোরপূর্বক গুম, খুন ও নির্যাতনের অভিযোগে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় শেখ হাসিনার পক্ষে আইনজীবী হিসেবে লড়াইয়ের ঘোষণা দিয়েও নির্ধারিত শুনানিতে হাজির না হওয়ায় তাকে তলব করে ট্রাইব্যুনাল। হাজিরা দিয়ে তিনি ট্রাইব্যুনালের প্রতি সম্মান জানিয়ে নিঃশর্ত ক্ষমা চান।

এর আগে গত ২৩ নভেম্বর আইনজীবী হিসেবে শেখ হাসিনার পক্ষে লড়তে চেয়ে ট্রাইব্যুনালে আবেদন করেন জেড আই খান পান্না। শুনানি শেষে ট্রাইব্যুনাল তাকে স্টেট ডিফেন্স হিসেবে নিয়োগ দেয়। কিন্তু ২৭ নভেম্বর নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে তিনি লিখেন, শেখ হাসিনার ট্রাইব্যুনালের প্রতি আস্থা নেই, তাই এমন আদালতে তাকে ডিফেন্ড করা “উচিত না এবং অনৈতিক”। তিনি জানান, তিনি এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে ডিফেন্স আইনজীবী হিসেবে নিয়োগ পাননি; পাওয়া মাত্র তা জানাবেন।

এদিকে একই মামলায় সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ও বিএনপি নেতা ফজলুর রহমানের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগে জেড আই খান পান্না তার পক্ষে শুনানি করবেন বলে জানিয়েছেন।

বুধবার ট্রাইব্যুনালে এ মামলার অভিযোগ গঠনের শুনানিও শুরু হয়। টিএফআই সেলে গুম ও নির্যাতনের অভিযোগে মানবতাবিরোধী অপরাধের এই মামলার প্রধান আসামি ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ছাড়াও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান, সাবেক প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা তারিক আহমেদ সিদ্দিকসহ মোট ১৭ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে। এর মধ্যে সাতজন পলাতক।

শুনানিকে ঘিরে সকাল থেকেই ট্রাইব্যুনাল এলাকায় কঠোর নিরাপত্তা জোরদার করা হয়। ১০ জন সাবেক ও বর্তমান সেনা কর্মকর্তাকে আদালতে হাজির করা হলে পরিস্থিতি আরও সংবেদনশীল হয়ে ওঠে। হাজির হওয়া কর্মকর্তাদের মধ্যে ছিলেন কর্নেল এ কে এম আজাদ, কর্নেল আবদুল্লাহ আল মোমেন, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল কামরুল হাসানসহ আরও কয়েকজন।

চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম সকালে অভিযোগ গঠনের শুনানি শুরু করেন। আসামিপক্ষ সময় চাইলে প্রসিকিউশন জানায়, তারা তাদের বক্তব্য শেষ করেই সময় দিতে আপত্তি নেই।

গুম–নির্যাতনের এই আলোচিত মামলায় ট্রাইব্যুনালের পরবর্তী কার্যক্রম ঘনিষ্ঠভাবে পর্যবেক্ষণ করছে সংশ্লিষ্ট মহল।

Please Share This Post in Your Social Media

এ ক্যাটাগরীর আরো সংবাদ

Footer Widget

Footer Widget

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

© 2019, All rights reserved.
Design by Raytahost.com