সড়ক পরিবহন ও জ্বালানি উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খান বলেছেন, যদি বর্তমান ধারা অনুযায়ী জমি অধিগ্রহণ চলতে থাকে, তাহলে ভবিষ্যতে কবর দেওয়ার জন্যও জায়গা থাকবে না। বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে অনুষ্ঠিত এক বিনিয়োগ সংলাপে তিনি এ কথা বলেন।
উপদেষ্টা বলেন, “রাস্তা রাস্তা করলে হবে না। আমাদের ন্যাশনাল হাইওয়ে ৬ লেনের জন্য নির্মিত, কিন্তু শীতলক্ষ্যা নদী ১০০-২০০ লেনের হাইওয়ে হিসেবে ব্যবহার করা যেতে পারে। কেন আমরা নদীটিকে ব্যবহার করছি না?” তিনি আরও জোর দেন যে, কোনো ব্যক্তির ইচ্ছায় আর কোনো বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন করা হবে না।
অনুষ্ঠানে বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ড. আহসান এইচ মনসুর মূল্যস্ফীতি ও অর্থনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে বলেন, “চলতি অর্থ বছরের শেষ নাগাদ মূল্যস্ফীতি ৫ শতাংশের নিচে নেমে আসবে। এছাড়া ১৬ বছর ধরে অনেক ব্যবসায়ী রাজনৈতিকভাবে নির্যাতনের শিকার হয়েছে, কিন্তু ব্যক্তির দায়ের কারণে কোনো প্রতিষ্ঠান বন্ধ করা হবে না। মূল্যস্ফীতি কমে গেলে নীতিসুদ হারও কমানো হবে।”
বিডা চেয়ারম্যান আশিক চৌধুরী অনুষ্ঠানে জানান, বর্তমান নীতি কার্যকর করা হলে আগামী দুই-তিন বছরে বিদেশি বিনিয়োগ তিন থেকে চার গুণ বৃদ্ধি পাবে। তিনি বলেন, “সরকার দেশি-বিদেশি বিনিয়োগকারীদের সহজ ও দ্রুত সেবা নিশ্চিত করতে কাজ করছে।”
এছাড়া, এনবিআর সচেষ্ট থাকবেন যাতে বিনিয়োগকারীদের বিনিয়োগ ঝুঁকিতে না পড়ে। সংস্থার চেয়ারম্যান আব্দুর রহমান খান বলেন, “যদি আমরা বিদেশি ব্যাংক থেকে ঋণ নেই, তাহলে খরচ সাময়িকভাবে কম হবে, কিন্তু সুদ দেওয়ার দায়িত্ব অবশ্যই থাকবে।”
বিনিয়োগ সংলাপে দেশের অবকাঠামো উন্নয়ন, নীতিমালা ও বিনিয়োগ পরিবেশকে আরও শক্তিশালী করার গুরুত্বের বিষয়েও জোর দেওয়া হয়েছে। বিশেষভাবে নদী ও হাইওয়ে ব্যবস্থাপনা, জমি অধিগ্রহণের সীমাবদ্ধতা এবং বিনিয়োগকারীদের সুবিধাজনক পরিবেশ তৈরির ওপর সরকারের লক্ষ্যকে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।
Leave a Reply