প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার জানিয়েছেন, বিএনপির পক্ষ থেকে যদি খালেদা জিয়ার চিকিৎসা বা অন্যান্য বিষয়ে আনুষ্ঠানিক সহযোগিতা চাওয়া হয়, সরকার তা প্রদান করবে। বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) বিকেলে ফরেন সার্ভিস একাডেমির মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত এক ব্রিফিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
আজাদ মজুমদার বলেন, “ইতোমধ্যে সরকারের পক্ষ থেকে সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। বিএনপির পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে যে কোনো সহযোগিতা চাওয়া হবে, সরকার তা নিশ্চিত করবে। এছাড়া, যেহেতু সরকার ইতোমধ্যেই বেগম খালেদা জিয়াকে ভিভিআইপি ঘোষণা করেছে, আইন অনুযায়ী তার প্রাপ্য সকল সুযোগ-সুবিধা প্রদান করা হবে।”
এর আগে বৃহস্পতিবার ভোরে ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালের সিসিইউ থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বেগম খালেদা জিয়াকে লন্ডনে নেওয়ার প্রস্তুতি চলছিল। বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর জানিয়েছিলেন, ভোরে কাতার এয়ারলাইনসের মাধ্যমে চেয়ারপারসনকে লন্ডনে নেওয়া হবে। বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে তার ব্যক্তিগত চিকিৎসকসহ ১৫ জন সদস্য থাকবেন, এবং যুক্তরাজ্য থেকে আসা বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ডা. রিচার্ড বিলিওও সঙ্গ দেবেন।
ব্রিফিংয়ে প্রেস সচিব শফিকুল আলম জানান, বাণিজ্যিক আদালত অধ্যাদেশ ২০২৫-এর নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, “সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে আরও কিছু ইনপুট দেবে এবং এর উপর নতুন ধরনের পরামর্শ বা কনসাল্টেশন হবে। আইনটি বিদেশি বিনিয়োগকারীদের জন্য সুবিধাজনক ও যুগোপযোগী।”
এসময় পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসানও উপস্থিত ছিলেন। সরকারের পক্ষ থেকে খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য ও সুরক্ষার ক্ষেত্রে যে সহযোগিতা প্রয়োজন, তা যথাযথভাবে নিশ্চিত করার পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।
এই পদক্ষেপটি রাজনৈতিক মহল ও চিকিৎসা সংক্রান্ত প্রতিষ্ঠানের মধ্যে নজরকাড়া ঘটনা হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। সরকারের ঘোষিত ভিভিআইপি সুবিধা এবং আনুষ্ঠানিক সহযোগিতা খালেদা জিয়ার লন্ডন যাত্রাকে আরও নিরাপদ ও সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে।
Leave a Reply