ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বুধবার ঘোষণা করেছেন, তিনি নিউইয়র্ক সফর করবেন, যদিও নবনির্বাচিত মেয়র জোহরান মামদানির পক্ষ থেকে গ্রেপ্তারি হুমকি রয়েছে। মামদানির মন্তব্য অনুসারে, আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি) যে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে, সেটি মেনে তিনি নেতানিয়াহুকে গ্রেপ্তার করার নির্দেশ দিতে পারেন।
নেতানিয়াহু নিউইয়র্ক টাইমসের ডিলবুক ফোরামে ভার্চুয়াল সাক্ষাৎকারে বলেন, “হ্যাঁ, আমি নিউইয়র্কে আসব।” তিনি আরও যোগ করেন, মামদানি যদি ইসরাইলের অস্তিত্বের অধিকারকে স্বীকার করে, তবে কথোপকথনের সেরা শুরু হবে।
জোহরান মামদানি ডেমোক্র্যাটিক সোশ্যালিস্ট, নিউইয়র্কের প্রথম মুসলিম ও দক্ষিণ এশীয় মেয়র হতে যাচ্ছেন। তিনি ইসরাইলের অস্তিত্বের পক্ষে থাকলেও ইহুদি রাষ্ট্র হওয়ার অধিকার সমর্থন করেন না। মামদানি আইসিসি দ্বারা গ্রেপ্তারি প্রাপ্ত নেতাদের: যেমন নেতানিয়াহু ও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন গ্রেপ্তার করার নির্দেশ দেওয়ার পরিকল্পনা করেছেন।
আইসিসি ২০২৩ সালে জানিয়েছে, হামাসের আক্রমণের পর গাজায় ইসরাইলের সামরিক অভিযানে নেতানিয়াহু যুদ্ধাপরাধ ও মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধে জড়িত থাকতে পারেন। ইসরাইল এসব অভিযোগে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে। যদিও মামদানি গ্রেপ্তারের কথা বলেছেন, বাস্তবে এটি অত্যন্ত অসম্ভাব্য। এছাড়া মেয়র হিসেবে তার আইনি ক্ষমতার সীমাবদ্ধতা নিয়েও বিতর্ক রয়েছে।
মার্কিন ফেডারেল সরকারই আন্তর্জাতিক কূটনীতি ও অভিবাসন নিয়ন্ত্রণ করে। ট্রাম্প প্রশাসন ইতিমধ্যে ইসরাইলকে শক্ত সমর্থন দিয়েছে এবং আইসিসির বিচারক ও আইনজীবীদের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে।
নিউইয়র্কে বিশ্বের সবচেয়ে বড় ইহুদি জনসংখ্যা বসবাস করে এবং জাতিসংঘের সদর দপ্তরও এখানেই। সংস্থার হোস্ট কান্ট্রি চুক্তি অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্রকে বিদেশি প্রতিনিধিদের জন্য ভিসা দিতে হয়। তবে ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বরে ট্রাম্প প্রশাসন ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসকে প্রবেশাধিকার দিতে অস্বীকার করেছিল।
এই পরিস্থিতি ইসরাইল-নেটানিয়াহু, আইসিসি ও যুক্তরাষ্ট্রের কূটনৈতিক সম্পর্ককে নতুন চ্যালেঞ্জের মুখে দাঁড় করাচ্ছে।
Leave a Reply