দেশে শীতের আমেজ শুরু হওয়ায় অনেকেই শীতকালে গোসল নিয়ে সতর্ক। বিশেষ করে শীতের সকালে ঠান্ডা পানি দিয়ে গোসল করা অনেকের জন্য কষ্টকর এবং স্বাস্থ্যজনিত প্রশ্ন সৃষ্টি করে। এ বিষয়ে কথা বলেছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ডা. নাগপাল।
তিনি জানান, ঠান্ডা পানি দিয়ে গোসল বেশিরভাগ মানুষের জন্য নিরাপদ হলেও এটি নির্ভর করে শরীর কতটা ঠান্ডা পানি সহ্য করতে পারে তার ওপর। যারা নিয়মিত ঠান্ডা পানি ব্যবহার করেন, তাদের শরীর সহজেই মানিয়ে নেয়। তবে অভ্যাস না থাকলে হঠাৎ ঠান্ডা পানির সংস্পর্শ শরীরে শক তৈরি করতে পারে, যার ফলে অস্বস্তি, মাথা ঘোরা বা শরীরের তাপমাত্রা দ্রুত কমে যাওয়ার মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে। এমন পরিস্থিতিতে প্রথমে গরম পানি দিয়ে গোসল শুরু করে ধীরে ধীরে ঠান্ডা পানিতে যাওয়া উচিত।
ডা. নাগপাল বলেন, বিশেষ করে হৃদরোগ, উচ্চ রক্তচাপ বা শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যায় ভুগছেন এমন ব্যক্তিদের হঠাৎ ঠান্ডা পানি বিপদের কারণ হতে পারে। হাঁপানি বা শ্বাসকষ্ট থাকলে ঠান্ডা পানির নিচে শ্বাস নেওয়াও কঠিন হয়ে পড়ে। তাই এ ধরনের সমস্যা থাকলে প্রতিদিন ঠান্ডা পানি দিয়ে গোসল শুরু করার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়া জরুরি।
গরম ও ঠান্ডা পানির গোসলের ভিন্ন ভিন্ন উপকারিতা রয়েছে। গরম পানির গোসল পেশি শিথিল করে, জোড়ার ব্যথা কমায় এবং শীতে আরাম দেয়। ঠান্ডা পানির গোসল রক্তসঞ্চালন বাড়ায়, রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা উন্নত করে এবং শরীরকে সতেজ রাখে।
ডা. নাগপাল পরামর্শ দিয়েছেন, শরীরকে অতিরিক্ত চাপ না দিয়ে প্রথমে গরম পানি দিয়ে গোসল শুরু করে শেষে কয়েক সেকেন্ড ঠান্ডা পানি ব্যবহার করা যেতে পারে। এতে দুই ধরনের গোসলের সুবিধা একসঙ্গে পাওয়া যায়।
শীতের সকালে ঠান্ডা পানি দিয়ে গোসল সবার জন্য উপযুক্ত নয়, তবে সঠিকভাবে করলে এটি শরীরে উজ্জীবন এনে দিতে পারে। ব্যক্তিগত সীমা বোঝা, ধীরে ধীরে অভ্যস্ত হওয়া এবং প্রয়োজন হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়াই গুরুত্বপূর্ণ।
Leave a Reply