বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে নিতে হলে প্রয়োজনীয় সহায়তা দিতে প্রস্তুত রয়েছে কাতার। এমনকি এ প্রয়োজন দেখা দিলে দেশটির পক্ষ থেকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্স পাঠাতেও আগ্রহ প্রকাশ করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) দুপুরে বিএনপির একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
এদিন দুপুরে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে খালেদা জিয়ার বর্তমান শারীরিক অবস্থা তুলে ধরেন দলের সিনিয়র যুগ্মমহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি জানান, বিএনপি চেয়ারপারসনের শারীরিক অবস্থা আগের মতোই রয়েছে এবং তিনি চিকিৎসায় সাড়া দিচ্ছেন। তবে পরিস্থিতি এখনও উদ্বেগজনক।
দলের মধ্যপ্রাচ্য শাখার কয়েকজন নেতা জানান, খালেদা জিয়াকে বিদেশে নেওয়ার প্রয়োজন দেখা দিলে কাতার সরকার তাৎক্ষণিক সহায়তা দিতে প্রস্তুত রয়েছে। প্রয়োজনে তারা বিশেষায়িত এয়ার অ্যাম্বুলেন্স পাঠানোর কথাও জানিয়েছে।
খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন ধরে আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, কিডনি, ফুসফুস ও চক্ষুসহ বিভিন্ন জটিল রোগে ভুগছেন। গত বছরের ৫ আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানের পর তিনি মুক্তি পান এবং চলতি বছরের ৭ জানুয়ারি উন্নত চিকিৎসার জন্য লন্ডনে যান। সেখানে ১১৭ দিন অবস্থান শেষে গত ৬ মে দেশে ফিরেন তিনি। সেই যাত্রায়ও কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানির পাঠানো বিশেষায়িত এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে তাকে আনা–নেওয়া করা হয়।
সম্প্রতি নিয়মিত শারীরিক পরীক্ষা–নিরীক্ষার জন্য বেশ কয়েক দফা এভারকেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হয় বিএনপির চেয়ারপারসনকে। সবশেষ গত ২৩ নভেম্বর সন্ধ্যায় তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এরপর থেকে তার শারীরিক অবস্থা সংকটাপন্ন বলে জানিয়ে আসছেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ডা. জাহিদ হোসেনসহ অন্যান্য নেতারা।
গত ২ ডিসেম্বর দুপুরে খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা নিয়ে ব্রিফ করেন ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন। তিনি জানান, দেশি–বিদেশি বিশেষজ্ঞদের পরামর্শে চিকিৎসা চলছে। একই সঙ্গে গুজবে কান না দিয়ে সকলকে সংযত থাকার আহ্বান জানান তিনি।
এদিকে খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় আন্তরিকতা দেখানো বন্ধু রাষ্ট্রগুলোর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
Leave a Reply