উপদেষ্টা পরিষদের কোনো সদস্যই নির্বাচনে পদে বহাল থেকে অংশ নিতে পারবেন না বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ। রবিবার (৭ ডিসেম্বর) নির্বাচনি প্রস্তুতি সংক্রান্ত সভা শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ তথ্য জানান।
ইসি সানাউল্লাহ জানান, “চলতি সপ্তাহেই ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হবে। তফসিল ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে নির্বাচন কমিশনের নানা প্রস্তুতি কার্যক্রম আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হবে।” তিনি আরও জানান, তফসিল ঘোষণার বক্তব্য রেকর্ডের জন্য আগামীকাল বাংলাদেশ টেলিভিশনে চিঠি পাঠানো হবে।
নির্বাচনের দিন বিশেষ ব্যবস্থা সম্পর্কেও তিনি নিশ্চিত করেছেন। একই দিনে দুই ভোট অনুষ্ঠিত হবে এবং নির্বাচনী সামগ্রী আগের রাতেই কেন্দ্রে পৌঁছানো হবে। “রাতের ভোটের মতো কোনো ঘটনা ঘটবে না। এবার বেসরকারি ব্যাংক কর্মকর্তাকে নির্বাচনী দায়িত্ব দেওয়া হবে না,” বলেছেন তিনি।
ভোট গ্রহণের সময়সূচি নিয়ে ইসি জানান, ভোট সময় ১ ঘণ্টা বাড়ানো হয়েছে। ভোট সকাল ৭:৩০ থেকে বিকেল ৪:৩০ পর্যন্ত চলবে। যদি স্থান সংকুলান না হয়, তবে এক কক্ষে একাধিক সিক্রেট বুথ স্থাপন করা হবে। তফসিল ঘোষণার পর প্রচার সামগ্রী অপসারণে ৪৮ ঘণ্টা সময় দেওয়া হবে; তা না মানলে আচরণবিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
পোস্টাল ব্যালট প্রসঙ্গে কমিশনার জানান, তফসিল ঘোষণার পর ১৫ দিনব্যাপী পোস্টাল ব্যালট নিবন্ধন চলবে। দেশের ভেতরে পোস্টাল ব্যালট ব্যবস্থাপনা নিয়ে বিস্তর আলোচনা হয়েছে। নির্বাচনী দায়িত্ব পালনকারীরা স্থানীয় কারো কাছ থেকে কোনো সুবিধা গ্রহণ করতে পারবেন না বলেও সতর্ক করেছেন তিনি।
এছাড়া নির্বাচনের জন্য সরকারের কাছে প্রয়োজনীয় বাজেট চাওয়া হয়েছে। আগামীকাল আঞ্চলিক ও জেলা নির্বাচন কর্মকর্তাদের সঙ্গে জুম মিটিং অনুষ্ঠিত হবে বলে তিনি জানান।
নির্বাচন কমিশনের এই পদক্ষেপগুলো স্বচ্ছ ও শান্তিপূর্ণ ভোট নিশ্চিত করতে এবং ভোটারদের জন্য নিরাপদ ও সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত করতে নেওয়া হয়েছে।
Leave a Reply