বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, “একটি গোষ্ঠী ধর্মের নামে রাষ্ট্র ও সমাজে বিভাজনের পথ তৈরি করতে চাচ্ছে, কিন্তু আমরা ধর্মকে দিয়ে বিভাজন বিশ্বাস করি না।” রোববার (৭ ডিসেম্বর) কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে বিএনপির ‘দেশ গড়ার পরিকল্পনা’ কর্মসূচির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব মন্তব্য করেন।

ফখরুল অভিযোগ করেন, বিএনপিকে নেতিবাচকভাবে উপস্থাপন করার প্রচেষ্টা চলছে। তিনি বলেন, দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান নতুন চিন্তাধারা জনগণের কাছে পৌঁছে দেওয়ার চেষ্টা করছেন, যা পুরনো রাষ্ট্র কাঠামোর চেয়ে বেশি কার্যকর ও সময়োপযোগী।

মহাসচিব খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য বিষয়েও কথা বলেন। তিনি বলেন, “খালেদা জিয়া গুরুতর অসুস্থ। দেশীয় ও আন্তর্জাতিক চিকিৎসকরা তার চিকিৎসা করছেন। দেশের মানুষ তার সুস্থতার জন্য দোয়া করেছেন, যা আল্লাহ কবুল করবেন।”

ফখরুল ছাত্রদলের ভূমিকাকে গুরুত্ব দিয়ে বলেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে ছাত্রদলের পদচারণা বাড়াতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয় নির্বাচনে দলের ভালো ফলাফল না পাওয়াকে তিনি এই ঘাটতির সঙ্গে যুক্ত করেন। তিনি আরও বলেন, ছাত্রদলকে নতুন চিন্তার আলোকে তৈরি করতে হবে এবং দেশ গড়ার কর্মসূচিতে তাদের অংশগ্রহণ গুরুত্বপূর্ণ।

তিনি বিএনপির ‘দেশ গড়ার কর্মসূচি’ দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের নিজস্ব ভাবনার প্রতিফলন হিসেবে উল্লেখ করে বলেন, “পরিবর্তন সবাই চায়। নতুন বাংলাদেশ দেখতে চাওয়ার ভাবনা সবার মধ্যেই এসেছে। পুরোনো রাষ্ট্র কাঠামো আর উপযোগী নয়।”

ফখরুল বলেন, বর্তমান আওয়ামী সরকার ফ্যাসিস্টভাবে সব প্রতিষ্ঠান ধ্বংস করেছে। ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান নতুন করে আলোকিত করার চেষ্টা করছেন। জনগণের কাছে নতুন চিন্তা তুলে ধরার দায়িত্ব শুরুতেই ছাত্রদলকে দেওয়া হচ্ছে।

তারেক রহমান নতুন বাংলাদেশে দেড় বছরে এক কোটি মানুষের জন্য কর্মসংস্থান নিশ্চিত করার ঘোষণা দিয়েছেন এটি, ফখরুলের মতে, প্রমাণ করছে বিএনপি একটি অ্যাডভান্সড পলিটিক্যাল পার্টি। তিনি বলেন, “বর্তমানে বিএনপিকে নেগেটিভভাবে দেখানোর প্রবণতা রয়েছে, যা ভেঙে ফেলতে হবে। বিএনপি সবসময় পথ ও জানালা খুলে দিয়েছে।”

মহাসচিব উল্লেখ করেন, যুগসন্ধিক্ষণে দলের সামনে অনেক বাধা থাকলেও সেগুলো অতিক্রম করে সফলতা অর্জন করতে হবে। তিনি বলেন, সাইবার যুদ্ধে প্রস্তুত না হলে পরাজয় নিশ্চিত। ৩১ দফা কর্মসূচি গ্রামের পর্যায়ে সঠিকভাবে পৌঁছানো না গেলেও, ‘দেশ গড়ার কর্মসূচি’ সফলভাবে প্রয়োগ করলে তা সফলতা আনবে।