ডিসেম্বরের শুরুতেই কুয়াশাচ্ছন্ন সকাল আর রাতের তীব্র শীত জনজীবনকে স্থবির করে তুলেছে। এই অবস্থায় দেশের বিভিন্ন স্থানে মৌসুমের প্রথম শৈত্যপ্রবাহ ‘পরশ’ ধেয়ে আসছে, যা শীতের তীব্রতা আরও বাড়াবে। রোববার (৭ ডিসেম্বর) বিকেলে বাংলাদেশ ওয়েদার অবজারভেশন টিম (বিডব্লিউওটি) তাদের ফেসবুক পোস্টে এ তথ্য জানিয়েছে।
বিডব্লিউওটির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শৈত্যপ্রবাহের প্রভাবে দেশের কিছু নির্দিষ্ট এলাকায় তাপমাত্রা সর্বনিন্ম ৮ থেকে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছাকাছি থাকতে পারে। বিশেষ করে রংপুর, রাজশাহী, খুলনা এবং সিলেট বিভাগের কিছু স্থানে শৈত্যপ্রবাহ বেশি সক্রিয় থাকতে পারে।
অতিরিক্তভাবে, এই চার বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় সাময়িকভাবে তাপমাত্রা ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত নামতে পারে। দেশের অন্য অঞ্চলগুলোতে তাপমাত্রা ১০ থেকে ১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে থাকতে পারে। শৈত্যপ্রবাহের ফলে সারা দেশে সকালবেলা কুয়াশা আরও ঘন হবে এবং রাতের তাপমাত্রা আরও কমতে পারে, যা জনজীবনে শীতের অনুভূতি বৃদ্ধি করবে।
বিডব্লিউটি আরও জানায়, শৈত্যপ্রবাহ ‘পরশ’ কখন থেকে পুরোপুরি সক্রিয় হবে এবং কোন স্থানে কেমন প্রভাব পড়বে তা পরবর্তীতে বিস্তারিতভাবে জানানো হবে। তারা আবহাওয়ার সঙ্গে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছেন, বিশেষ করে শিশু, বৃদ্ধ ও রোগপ্রবণ ব্যক্তিদের জন্য।
মৌসুমের এই শৈত্যপ্রবাহের সঙ্গে হিমেল হাওয়া, কুয়াশা এবং শীতজনিত অসুবিধা বাড়তে পারে। বিশেষজ্ঞরা বলেন, শীতের তীব্রতা বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে কৃষি, যানবাহন চলাচল ও দৈনন্দিন জীবনেও প্রভাব পড়তে পারে। তাই আবহাওয়ার পূর্বাভাস অনুসরণ করে যথাযথ প্রস্তুতি নেওয়া জরুরি।
এই শৈত্যপ্রবাহ ‘পরশ’ দেশের মানুষকে শীতের প্রকৃত তীব্রতা অনুভব করাবে এবং ডিসেম্বরের শেষের দিকে আরও শীতপ্রবাহ সক্রিয় হতে পারে।
Leave a Reply