আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময় মোটরসাইকেল চলাচল ৭২ ঘণ্টার জন্য নিষিদ্ধ থাকবে। রোববার (৭ ডিসেম্বর) নির্বাচন কমিশনার ও অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ এই তথ্য জানান। তিনি বলেন, চলাচলে নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে অতীতে যেভাবে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিল, এবারও সেটিই বলবৎ থাকবে।
তিনি আরও জানান, নির্বাচনের সময়ে ২৪ ঘণ্টার জন্য টেক্সি ক্যাব, পিকআপ, মাইক্রো ও ট্রাক চলাচল বন্ধ থাকবে। তবে জরুরি সেবায় নিয়োজিত যানবাহনগুলো এই নিষেধাজ্ঞার বাইরে থাকবে। এ ব্যবস্থার মাধ্যমে ভোটগ্রহণের দিন যানজট কমানো এবং নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে।
নির্বাচন কমিশনার সানাউল্লাহ বলেন, ভোটগ্রহণের দিন সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। অন্যান্য দিন যেমন ছিল, তেমনি থাকবে। তবে ভোটগ্রহণের দিন ব্যাংক ও বীমা প্রতিষ্ঠান খোলা থাকবে।
তিনি আরও জানান, তফসিল ঘোষণার দিন সন্ধ্যায় মাঠ পর্যায়ের বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। পাশাপাশি আচরণবিধি প্রতিপালনের জন্য প্রতিটি উপজেলায় দুইজন করে ম্যাজিস্ট্রেট দায়িত্ব পালন করবেন। ভোটগ্রহণের পাঁচ দিন আগে এই সংখ্যা আরও বৃদ্ধি করা হবে।
এছাড়া, তফসিল ঘোষণার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে সব ব্যানার ও পোস্টার সরানোর নির্দেশ দেওয়া হবে। নির্বাচন কমিশন রাজনৈতিক দলগুলোকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে পোস্টার সরানোর সুযোগ দেবে। এ সময়ের মধ্যে না সরালে আচরণবিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সংক্ষিপ্তভাবে, নির্বাচন কমিশন সর্বাত্মক নিরাপত্তা এবং স্বচ্ছ ভোট প্রক্রিয়া নিশ্চিত করতে সকল পদক্ষেপ নিচ্ছে। মোটরসাইকেল চলাচল ৭২ ঘণ্টা বন্ধের পাশাপাশি অন্যান্য যানবাহনের জন্য কঠোর নিয়ন্ত্রণ, ভোটকেন্দ্রের কার্যক্রম ও আচরণবিধি বাস্তবায়নের মাধ্যমে নির্বাচনের পরিবেশ শান্তিপূর্ণ রাখার চেষ্টা করা হচ্ছে।
Leave a Reply