সোমবার, ০৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৯:০৭ পূর্বাহ্ন
Title :
পাকিস্তানের বিপক্ষে সহজ জয়ে এগিয়ে গেল বাংলাদেশ রোহিঙ্গাদের জন্য ১১ মিলিয়ন ডলার তহবিল ঘোষণা যুক্তরাজ্য ও কাতারের সরকারি অফিসে হয়রানি উত্তরণে চালু হচ্ছে ‘অ্যাপ’ দুর্নীতির বিরুদ্ধে অন্তর্বর্তী সরকার কঠোর অবস্থান নিতে পারেনি : ইফতেখারুজ্জামান ১৮তম কাউন্সিল অব দ্য কলেজ সভা অনুষ্ঠিত সুপ্রিম কোর্ট সচিবালয়ে ৪৮৯ পদে নিয়োগের সিদ্ধান্ত সীমান্তে যুদ্ধাবস্থা নেই অথচ মানুষকে গুলি করে মারা হয় : পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বিয়ের গুঞ্জনে পানি ঢাললেন কনা নির্বাচন-গণভোটের প্রস্তুতি নিয়ে প্রধান উপদেষ্টাকে অবহিত করলেন সিইসি তফসিল ঘোষণার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে পোস্টার না সরালে ব্যবস্থা

খাদ্যে ক্ষতিকর রাসায়নিকের উপস্থিতি নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রধান উপদেষ্টার

  • আপডেট টাইম : রবিবার, ৭ ডিসেম্বর, ২০২৫, ৮.৪৯ অপরাহ্ণ
  • ৪৯ বার

খাদ্যে ভেজাল ও ক্ষতিকর রাসায়নিক পদার্থের উপস্থিতি নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস নির্দেশ দিয়েছেন, আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে এ জনস্বাস্থ্য সংকট মোকাবিলায় প্রয়োজনীয় কার্যক্রমের একটি লিখিত প্রস্তাবনা পাঠাতে। রোববার (৭ ডিসেম্বর) দুপুরে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তার সভাপতিত্বে খাদ্যে দূষণ ও জনস্বাস্থ্যের ঝুঁকি মোকাবিলা সংক্রান্ত উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে এই নির্দেশনা দেওয়া হয়।

বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, খাদ্যে বিভিন্ন ধরনের দূষণের তথ্য আমরা জানি। নিজেদের ও প্রিয়জনদের স্বার্থে সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। তিনি জোর দিয়ে বলেন, বাস্তবায়নের দিকগুলো আলোচনা করে জরুরি উদ্যোগগুলো তাৎক্ষণিকভাবে গ্রহণ করা হবে।

বৈঠকে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ (বিএফএসএ) জানায়, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, খাদ্যবাহিত রোগে প্রতি বছর বিশ্বে ৬০ কোটি এবং বাংলাদেশে প্রায় ৩ কোটি শিশু আক্রান্ত হয়। খাবারে ভারী ধাতু, কীটনাশক, জীবনাশক অবশিষ্টাংশ, তেজস্ক্রিয়তা ও জৈবদূষকসহ চার ধরনের দূষক থাকতে পারে। গত অর্থবছরে ১ হাজার ৭১৩টি এবং চলতি বছরে এ পর্যন্ত ৮১৪টি নমুনা পরীক্ষায় অতিরিক্ত মাত্রায় সিসা বা সিসা ক্রোমেট শনাক্ত হয়েছে।

বিএফএসএ ও ইউনিসেফের তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশে সাড়ে ৩ কোটি শিশু সিসার সংক্রমণে আক্রান্ত। সিসা মানবদেহে প্রবেশ করলে মস্তিষ্ক, যকৃৎ, কিডনি, হাড় ও দাঁতে জমা হয়, যা বিশেষ করে শিশুদের মানসিক বিকাশকে প্রভাবিত করে। গর্ভবতী নারীর মধ্যে প্রায় ৫ শতাংশের সিসার সংক্রমণ ধরা পড়েছে।

বৈঠকে কৃষি ও খাদ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানান, হাঁস-মুরগি, দুগ্ধজাত খাদ্য ও মাছের মাধ্যমে মানবদেহে ক্ষতিকারক পদার্থ প্রবেশ করতে পারে, বিশেষ করে পোল্ট্রি ফার্মে অনিয়ন্ত্রিত অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহারের কারণে। কিছু প্রতিষ্ঠান বৈধ নিয়ন্ত্রণ এড়িয়ে অবৈধভাবে ফার্ম পরিচালনা করছে।

প্রধান উপদেষ্টা জনসচেতনতা বৃদ্ধি এবং শিক্ষা ও গণমাধ্যমের মাধ্যমে খাদ্য নিরাপত্তা বিষয়ক শিক্ষার গুরুত্ব তুলে ধরেন। এছাড়া, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ল্যাবরেটরিকে কাজে লাগিয়ে সিসার পরিমাণ নিয়ে সমন্বিত গবেষণা এবং দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের পরামর্শ দেন।

বৈঠকে কৃষি ও স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা, খাদ্য, স্বাস্থ্য, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা, প্রধান উপদেষ্টার সচিব এবং সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও দপ্তরের প্রধানগণ উপস্থিত ছিলেন।

Please Share This Post in Your Social Media

এ ক্যাটাগরীর আরো সংবাদ

Footer Widget

Footer Widget

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

© 2019, All rights reserved.
Design by Raytahost.com