চিকিৎসাধীন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া-কে বিদেশে নেওয়ার জন্য ভাড়া করা এয়ার অ্যাম্বুলেন্স মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) ঢাকায় আসছে না। ফলে সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীর লন্ডন যাত্রা আপাতত পেছানো হলো। এটি পঞ্চমবারের মতো এমন বিলম্ব।

সোমবার (৮ ডিসেম্বর) শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের এক দায়িত্বশীল কর্মকর্তা গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন, খালেদা জিয়াকে লন্ডনের হাসপাতালে নেওয়ার জন্য কাতারের এয়ার অ্যাম্বুলেন্স মঙ্গলবার সকালেই ঢাকায় অবতরণ করার অনুমতি নিয়েছিল। তবে আজ সেই অনুমতি প্রত্যাহার চেয়ে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করা হয়েছে। অর্থাৎ, বিমানবন্দর থেকে এই বিমানটি আসছে না এবং লন্ডন যাত্রা আপাতত স্থগিত।

এর আগে, গত ২৩ নভেম্বর রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয় খালেদা জিয়াকে। ভর্তি হওয়ার পর তার শারীরিক অবস্থার দ্রুত অবনতি ঘটায় ২৭ নভেম্বর তাকে হাসপাতালের সিসিইউতে স্থানান্তর করা হয়। বর্তমানে দেশের ও বিদেশের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের সমন্বয়ে গঠিত মেডিকেল বোর্ডের নিবিড় পর্যবেক্ষণে চিকিৎসাধীন আছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী।

দুদিন আগে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ডা. এ জেড এম জাহিদ জানান, চিকিৎসার প্রয়োজন হলে এয়ার অ্যাম্বুলেন্স সবসময় প্রস্তুত আছে এবং চিকিৎসকরা অনুমোদন দিলে খালেদা জিয়াকে বিদেশে নেওয়া হবে। তিনি বলেন, “তার নিরাপত্তা ও চিকিৎসাগত দিক সর্বোচ্চ প্রাধান্য পাচ্ছে।”

অন্যদিকে, প্রধান উপদেষ্টা পরিষদের প্রেস সচিব শফিকুল আলম জানান, খালেদা জিয়ার চিকিৎসায় তার পরিবারের অনুরোধ মোতাবেক সরকার সব ধরনের সহযোগিতা নিশ্চিত করছে।

উল্লেখ্য, বিএনপি চেয়ারপারসন দীর্ঘদিন ধরে একাধিক জটিল ও দীর্ঘস্থায়ী অসুস্থতায় ভুগছেন। এর মধ্যে লিভার সিরোসিস, হৃদরোগ, ডায়াবেটিস, আর্থ্রাইটিস (বাত) এবং কিডনি জটিলতা অন্যতম। চিকিৎসকেরা নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করছেন এবং স্বাস্থ্যগত পরিস্থিতির উন্নতি হলে তার বিদেশ যাত্রা আবার পরিকল্পনা করা হতে পারে।