নতুন ইতিহাস রচনা করলেন প্রবাসী বাংলাদেশি বিজ্ঞানী ড. দেলোয়ার হোসাইন। মহাকাশ গবেষণায় অসাধারণ সাফল্য অর্জন করে তিনি গর্বের অবদান রেখেছেন। কানাডা সরকারের প্রতিনিধিত্বকারী আরএন্ডডি পার্টনারশিপ দলের সদস্য হিসেবে ড. হোসাইন ইউরোপের শীর্ষস্থানীয় দুটি মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্র এয়ারবাস এবং জার্মান অ্যারোস্পেস সেন্টার (ডিএলআর) পরিদর্শন করেছেন। এ সময় তিনি তার উদ্ভাবিত মহাকাশ-চিকিৎসা যন্ত্র ‘বিপি অ্যারো অ্যাকটিভ প্লাস’ উপস্থাপন করেন।
এই যন্ত্রটি মহাকাশচারীদের হৃদ্স্বাস্থ্য বাস্তব সময়ে পর্যবেক্ষণ করতে সক্ষম, যা দীর্ঘমেয়াদি মহাকাশযাত্রায় জীবনরক্ষাকারী ভূমিকা রাখতে পারে। ড. হোসাইনের উদ্ভাবন কানাডিয়ান স্পেস টেকনোলজি পার্টনারিং মিশন-২০২৫ এ নির্বাচিত ১২টি উদ্ভাবনের মধ্যে অন্যতম।
পরিদর্শনের সময় ড. হোসাইন মহাকাশযান, স্পেসক্রাফট সিস্টেম ইন্টিগ্রেশন ল্যাব এবং ইউরোপীয় নভোচারীদের প্রশিক্ষণকেন্দ্রসহ বিভিন্ন উচ্চ প্রযুক্তির সুবিধা ঘুরে দেখেন। ডিএলআর-এর প্রধান কেন্দ্র, ইউরোপীয়ান এস্ট্রোনার্ট সেন্টার, মেডিক্যাল সেন্টার ফর এস্ট্রোনর্ট এবং লুনা ফ্যাসিলিটি পরিদর্শনের মাধ্যমে ভবিষ্যৎ চাঁদ অভিযানের প্রযুক্তির সঙ্গে পরিচিত হন।
ডিএলআর-এ গবেষক, কর্মকর্তা ও শিল্প নেতাদের সামনে উদ্ভাবন উপস্থাপনের পর সম্ভাব্য সহযোগিতা ও যৌথ গবেষণার পথ উন্মুক্ত হয়। এছাড়াও, তিনি ইউরোপের বৃহত্তম মহাকাশ–প্রযুক্তি প্রদর্শনী স্পেস টেক এক্সপোর্ট ইউরোপ ২০২৫-এ অংশ নিয়ে নিজের উদ্ভাবনকে বৈশ্বিক মহাকাশ শিল্পের কেন্দ্রবিন্দুতে তুলে ধরেন।
ড. দেলোয়ার হোসাইন এই অর্জনকে কেবল ব্যক্তিগত সাফল্য না বলে প্রবাসী বাংলাদেশিদের মেধা ও বাংলাদেশের গৌরব হিসেবে উল্লেখ করেছেন। তিনি বলেন, “বাংলাদেশের শিল্প ও অর্থনৈতিক উন্নয়নে এই অভিজ্ঞতা কাজে লাগাতে চাই।”
এই সাফল্য বাংলাদেশের মহাকাশ গবেষণায় নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছে এবং আন্তর্জাতিক মহাকাশ গবেষণায় দেশের অবস্থানকে আরও সুদৃঢ় করেছে।
Leave a Reply