নারীশিক্ষা, নারী অধিকার, মানবাধিকার ও নারী জাগরণে বিশেষ অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে চার বিশিষ্ট নারীকে রোকেয়া পদক প্রদান করা হয়েছে। মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত অনুষ্ঠানে এই পদক তুলে দেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
এবার পদকপ্রাপ্তদের মধ্যে নারীশিক্ষা (গবেষণা) বিভাগের স্বীকৃতি পান রুভানা রাকিব, নারী অধিকার (শ্রম অধিকার) বিভাগের জন্য কল্পনা আক্তার, মানবাধিকার বিভাগের জন্য নাবিলা ইদ্রিস এবং নারী জাগরণ (ক্রীড়া) বিভাগের জন্য ঋতুপর্ণা চাকমা।
এতে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, বেগম রোকেয়া সমাজকে অন্ধকার থেকে আলোর পথে নিয়ে গেছেন। নারী শিক্ষার প্রসার, অধিকার সুরক্ষা এবং সমাজে নারীর ক্ষমতায়নের ক্ষেত্রে তার দৃষ্টিভঙ্গি আজও প্রাসঙ্গিক এবং দিকনির্দেশক।
রোকেয়া পদক প্রদান অনুষ্ঠানটি বেগম রোকেয়া দিবস উপলক্ষে অনুষ্ঠিত হয়। মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয় বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে দিবসটি উদযাপন করছে। উল্লেখ্য, ১৮৮০ সালের ৯ ডিসেম্বর রংপুরের পায়রাবন্দ গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন খ্যাতিমান সমাজ সংস্কারক, শিক্ষাবিদ ও নারী জাগরণের অগ্রদূত বেগম রোকেয়া। ১৯৩২ সালের একই দিনে তিনি মৃত্যুবরণ করেন।
বেগম রোকেয়া নারীর ক্ষমতায়নের জন্য শিক্ষার গুরুত্ব বুঝেছিলেন। তার সাহিত্যকর্ম, যেমন ‘সুলতানার স্বপ্ন’ ও ‘অবরোধবাসিনী’, সমাজের কুসংস্কারের বিরুদ্ধে সাহসী প্রতিবাদের প্রতীক। তিনি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন সাখাওয়াত মেমোরিয়াল গার্লস স্কুল, যা হাজারো বালিকাকে শিক্ষার আলোয় আলোকিত করেছে।
প্রতিবারের মতো এ পদকের মাধ্যমে নারীর ক্ষমতায়ন, শিক্ষা ও সমাজে সমতার প্রচেষ্টা উদযাপন করা হয়। অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারীরা বলেন, এই পদক শুধু সম্মান নয়, বরং নারীর সামাজিক অবদানকে প্রমাণ করার একটি শক্তিশালী প্রতীক।
Leave a Reply