পাকিস্তানের রাষ্ট্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা ইন্টার-সার্ভিসেস ইন্টেলিজেন্সের (আইএসআই) সাবেক প্রধান, অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট জেনারেল ফয়েজ হামিদকে দেশটির সামরিক আদালত ১৪ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছে। বৃহস্পতিবার পাকিস্তানের আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) এক বিবৃতিতে এই তথ্য জানায়। খবর প্রকাশ করেছে জিও নিউজ।
আইএসপিআরের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ফয়েজ হামিদের বিরুদ্ধে সামরিক আদালতে ১৫ মাসেরও বেশি সময় ধরে বিচারিক প্রক্রিয়া চলেছিল। আদালত দীর্ঘ এই আইনি প্রক্রিয়ার পর তাকে সকল অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত করেছে।
ফয়েজ হামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগগুলোতে ছিল রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকা, সরকারি গোপনীয়তা আইন লঙ্ঘন করা, রাষ্ট্রের নিরাপত্তা ও স্বার্থকে বিপন্ন করা, ক্ষমতা ও সরকারি সম্পদের অপব্যবহার, এবং নিজের ক্ষমতা ও রাষ্ট্রীয় সম্পদ ব্যবহার করে জনগণের ক্ষতিসাধন করা। আইএসপিআর জানিয়েছে, ‘দীর্ঘ আইনি প্রক্রিয়ার পর আদালত তাকে ১৪ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করেছে।’
বিবৃতিতে আরও উল্লেখ করা হয় যে, অভিযুক্তকে বিচার প্রক্রিয়ার সময় বৈধ সকল সুযোগ এবং অধিকার প্রদান করা হয়েছিল। এছাড়া, চাইলে তিনি আদালতের সঙ্গে সম্পর্কিত উচ্চতর ফোরামে আপিল করার অধিকারও রাখেন।
ফয়েজ হামিদকে ক্ষমতার অপব্যবহার এবং সেনা আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে ২০২৪ সালের আগস্টে পাকিস্তান সেনাবাহিনী হেফাজতে নেয়। আইএসপিআর জানান, সামরিক আদালতের রায় দেশের নিরাপত্তা ও আইনের প্রতি অঙ্গীকারকে প্রতিফলিত করে।
বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এই রায় পাকিস্তানে সামরিক নেতৃত্বের অভ্যন্তরীণ শৃঙ্খলা ও আইনগত নিয়ন্ত্রণ শক্তিশালী করার একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। তবে, সাবেক গোয়েন্দা প্রধানের মত উচ্চপদস্থ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে এই রায় দেশের রাজনৈতিক ও নিরাপত্তা সংক্রান্ত আলোচনাতেও ব্যাপক প্রভাব ফেলবে।
Leave a Reply