যুক্তরাষ্ট্রের রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ কেন্দ্র (সিডিসি) বাংলাদেশ, কিউবা, শ্রীলঙ্কা এবং চীনের দক্ষিণাঞ্চলীয় গুয়াংডং প্রদেশে ভ্রমণকারী মার্কিন নাগরিকদের জন্য লেভেল–২ ভ্রমণ সতর্কতা জারি করেছে। সতর্কতার কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে, এই গ্রীষ্মমণ্ডলীয় দেশগুলোতে মশাবাহিত ছিকুনগুনিয়া রোগের প্রাদুর্ভাব উদ্বেগজনকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। খবর প্রকাশ করেছে ফক্স নিউজ।
সিডিসি জানিয়েছে, এই দেশগুলোতে ভ্রমণকারীদের উন্নত সতর্কতা (Enhanced Precautions) অনুসরণ করতে হবে। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, ছিকুনগুনিয়ার কোনো নিরাময় নেই, তবে রোগটি টিকা–প্রতিরোধযোগ্য। ভ্রমণের আগে টিকা গ্রহণের সুপারিশ করা হয়েছে।
রোগটির সাধারণ উপসর্গের মধ্যে রয়েছে জ্বর ও তীব্র জয়েন্ট ব্যথা, যা অনেক ক্ষেত্রে দীর্ঘমেয়াদে স্থায়ী হতে পারে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) সতর্ক করেছে, কিছু রোগীর অবস্থাই এতটাই গুরুতর হতে পারে যে অঙ্গহানি, জটিলতা এবং মৃত্যুর ঝুঁকি তৈরি হয়।
ডব্লিউএইচও জানিয়েছে, ২০২৫ সালের জানুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বিশ্বব্যাপী ৪ লাখ ৪৫ হাজার সন্দেহভাজন ও নিশ্চিত কেস এবং ১৫৫ জনের মৃত্যু রেকর্ড করা হয়েছে। বাংলাদেশেও ঝুঁকি বাড়ছে; একই সময়ে ঢাকায় ৭০০ সন্দেহভাজন কেস রিপোর্ট করা হয়েছে। চীনের গুয়াংডং প্রদেশে এখন পর্যন্ত ১৬ হাজার স্থানীয় সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে—যা দেশটির ইতিহাসে সবচেয়ে বড় প্রাদুর্ভাব।
সিডিসি আরও সতর্ক করেছে যে, ব্রাজিল, কলম্বিয়া, ভারত, মেক্সিকো, নাইজেরিয়া, পাকিস্তান, ফিলিপাইন ও থাইল্যান্ডে ভ্রমণকারী মার্কিন নাগরিকরাও ছিকুনগুনিয়ার সংক্রমণের বর্ধিত ঝুঁকিতে থাকতে পারেন।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আক্রান্ত অঞ্চলে ভ্রমণের আগে মশা থেকে রক্ষা, টিকা গ্রহণ এবং স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ অপরিহার্য। এছাড়া, সংক্রমণ রোধে স্থানীয় স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা মেনে চলাও জরুরি।
Leave a Reply