মঙ্গলবার, ১৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ০২:১৬ পূর্বাহ্ন

জাতীয় নির্বাচনের পরিপত্র জারি, জামানত ৫০ হাজার টাকা

  • আপডেট টাইম : শনিবার, ১৩ ডিসেম্বর, ২০২৫, ৩.১৪ অপরাহ্ণ
  • ৭২ বার

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে মনোনয়নপত্র দাখিল, বাছাই, জামানত প্রদান ও প্রার্থিতা প্রত্যাহার সংক্রান্ত বিস্তারিত নির্দেশনা দিয়ে পরিপত্র-২ জারি করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) সকালে সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানটি এ পরিপত্র জারি করে, যা নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী প্রার্থীদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ দিকনির্দেশনা হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।

পরিপত্রে উল্লেখ করা হয়, গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ, ১৯৭২-এর ১৩ অনুচ্ছেদের (১) ও (২) দফা এবং নির্বাচন পরিচালনা বিধিমালা, ২০০৮-এর ৪ বিধি অনুযায়ী মনোনয়নপত্র দাখিলের সময় প্রার্থীকে নির্ধারিত জামানতের অর্থ প্রদানসহ প্রয়োজনীয় কার্যক্রম সম্পন্ন করতে হবে। জামানত বাবদ ৫০ হাজার টাকা নগদ, ব্যাংক ড্রাফট, পে-অর্ডার বা ট্রেজারি চালানের মাধ্যমে নির্বাচন কমিশনের অনুকূলে জমা দিতে হবে।

ইসি জানিয়েছে, কোনো প্রার্থীর অনুকূলে একাধিক মনোনয়নপত্র দাখিল হলেও শুধু একটি জামানতই গ্রহণযোগ্য হবে। অন্য মনোনয়নপত্রের সঙ্গে মূল চালান বা রসিদের সত্যায়িত অনুলিপি সংযুক্ত করতে হবে। এ জামানতের অর্থ বাংলাদেশ ব্যাংক বা যেকোনো ব্যাংক/সরকারি ট্রেজারিতে নির্ধারিত কোডে জমা দিতে হবে।

মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন নির্ধারণ করা হয়েছে আগামী ২৯ ডিসেম্বর। ওই দিন বিকাল ৫টার পর আর কোনো মনোনয়নপত্র গ্রহণ করা হবে না। সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত যেকোনো দিন প্রার্থী নিজে অথবা তার প্রস্তাবকারী কিংবা সমর্থনকারী রিটার্নিং অফিসার বা সহকারী রিটার্নিং অফিসারের কাছে মনোনয়নপত্র জমা দিতে পারবেন। মনোনয়নপত্র গ্রহণের সময় প্রার্থীদের প্রাপ্তি স্বীকার রসিদ এবং বাছাইয়ের তারিখ, সময় ও স্থান উল্লেখ করে নোটিশ দেওয়া হবে।

রাজনৈতিক দলের প্রার্থীদের ক্ষেত্রে দলের সভাপতি বা সাধারণ সম্পাদক কিংবা সমপর্যায়ের পদধারীর স্বাক্ষরিত প্রত্যয়নপত্র মনোনয়নপত্রের সঙ্গে জমা দেওয়া বাধ্যতামূলক। কোনো আসনে দল একাধিক প্রার্থী মনোনয়ন দিলে, ২০ জানুয়ারির মধ্যে চূড়ান্ত প্রার্থীর নাম লিখিতভাবে জানাতে হবে।

মনোনয়নপত্র বাছাই গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ অনুযায়ী সম্পন্ন হবে। ছোটখাটো ত্রুটির কারণে মনোনয়ন বাতিল করা যাবে না এবং তাৎক্ষণিকভাবে সংশোধনের সুযোগ থাকবে। তবে হলফনামার কোনো তথ্য পরিবর্তন করা যাবে না। মনোনয়ন বাতিল বা গ্রহণের সিদ্ধান্তে সংক্ষুব্ধ প্রার্থীরা ৫ থেকে ১১ জানুয়ারির মধ্যে আপিল করতে পারবেন এবং ১৮ জানুয়ারির মধ্যে আপিল নিষ্পত্তি করবে নির্বাচন কমিশন।

এছাড়া ঋণ খেলাপি যাচাই, আচরণবিধি সংক্রান্ত অঙ্গীকারনামা দাখিল এবং নির্বাচন সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলো ছুটির দিনেও খোলা রাখার নির্দেশনাও পরিপত্রে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

Please Share This Post in Your Social Media

এ ক্যাটাগরীর আরো সংবাদ

Footer Widget

Footer Widget

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

© 2019, All rights reserved.
Design by Raytahost.com