মঙ্গলবার, ১৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ০২:০৫ পূর্বাহ্ন

তারেক রহমানের দেশে ফেরা ও নিরাপত্তা নিয়ে যা জানালেন সালাহউদ্দিন

  • আপডেট টাইম : শনিবার, ১৩ ডিসেম্বর, ২০২৫, ৩.১২ অপরাহ্ণ
  • ৭৭ বার

দীর্ঘ প্রায় ১৮ বছর পর আগামী ২৫ ডিসেম্বর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দেশে ফেরার ঘোষণার মধ্যেই ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী ও ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরীফ ওসমান হাদির ওপর প্রাণঘাতী হামলার ঘটনা দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনকে নতুন করে নাড়িয়ে দিয়েছে। এ হামলার পর তারেক রহমানের প্রত্যাবর্তনকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক নেতাদের নিরাপত্তা প্রশ্নটি আরও গুরুত্বের সঙ্গে সামনে এসেছে।

এ প্রেক্ষাপটে শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ ও মেজর (অব.) হাফিজউদ্দিন আহমদ। বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, শরীফ ওসমান হাদির ওপর হামলাকে তারা কোনোভাবেই বিচ্ছিন্ন ঘটনা হিসেবে দেখছেন না। তার ভাষায়, “নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা হয়েছে ১০ তারিখ, আর তার পরদিনই একজন সম্ভাব্য জাতীয় সংসদ সদস্য পদপ্রার্থীর ওপর এ ধরনের হামলা হলো। হামলার ধরন দেখে বোঝা যায়, এটি পেশাদার শ্যুটারের কাজ।”

তিনি বলেন, বিএনপি ফ্যাসিবাদবিরোধী জাতীয় ঐক্য অটুট রাখবে এবং আরও সুদৃঢ় করবে। সামনে নির্বাচনকে ঘিরে রাজনৈতিক বিতর্ক থাকবে, তবে সেই বিতর্ক এমন পর্যায়ে যাবে না, যাতে জাতীয় ঐক্য ক্ষতিগ্রস্ত হয়। “আমাদের চেতনা হচ্ছে জুলাই-২০২৪ গণঅভ্যুত্থানের চেতনা। সেই জনআকাঙ্ক্ষাকে আমরা সবার ওপরে তুলে ধরবো,” বলেন তিনি।

তারেক রহমানের দেশে ফেরা ও তার নিরাপত্তা প্রসঙ্গে সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, সকল রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সরকারের দায়িত্ব। বিষয়টি বিএনপির জন্য সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার বলেও উল্লেখ করেন তিনি। একই সঙ্গে তিনি বলেন, সরকার, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, রাজনৈতিক দল ও জনগণ ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করলে এ ধরনের সহিংস ঘটনা প্রতিরোধ করা সম্ভব।

এদিকে শরীফ ওসমান হাদির শারীরিক অবস্থা এখনও অত্যন্ত আশঙ্কাজনক। শুক্রবার দুপুর সোয়া ২টার দিকে রাজধানীর বিজয়নগরে রিকশায় যাওয়ার সময় মোটরসাইকেলে আসা দুই দুর্বৃত্ত খুব কাছ থেকে তাকে গুলি করে পালিয়ে যায়। গুরুতর আহত অবস্থায় প্রথমে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়, পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য এভারকেয়ার হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।

স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের বিশেষ সহকারী অধ্যাপক ডা. সায়েদুর রহমান জানান, গুলির আঘাতে হাদির মস্তিষ্কের কাণ্ড মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, যা চিকিৎসাবিজ্ঞানে ‘ম্যাসিভ ব্রেন ইনজুরি’ হিসেবে বিবেচিত। আগামী ৭২ ঘণ্টা তার জন্য সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ সময় বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকেরা।

Please Share This Post in Your Social Media

এ ক্যাটাগরীর আরো সংবাদ

Footer Widget

Footer Widget

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

© 2019, All rights reserved.
Design by Raytahost.com