শার্শা সংবাদদাতা :
মৃত্যুর সাত দিন পর প্রবাসী ফরহাদ আহম্মেদ রনির (৩০) মরদেহ মালয়েশিয়া থেকে ফিরে পৌঁছালো যশোরের শার্শা উপজেলার কায়বা ইউনিয়নের বাগুড়ী গ্রামে। শুক্রবার (১১ জুলাই) সকাল ১০টায় অ্যাম্বুলেন্সে তার নিথর দেহ পৌঁছালে স্বজনদের আহাজারিতে আকাশ-বাতাস ভারি হয়ে ওঠে।
রনি গত শনিবার (৫ জুলাই) বাংলাদেশ সময় সকাল ৯টায় মালয়েশিয়ায় একটি নির্মাণস্থলে ক্রেন দুর্ঘটনায় প্রাণ হারান। তিনি সেখানে ‘কানেক্টেশন শ্রমিক’ হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ১২টা ৫৫ মিনিটে মালয়েশিয়া থেকে বিমানযোগে তার মরদেহ হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছায়। প্রয়োজনীয় আনুষ্ঠানিকতা শেষে ভোর ৫টায় প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের তত্ত্বাবধানে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়। এসময় সরকারের পক্ষ থেকে ৩৫ হাজার টাকার একটি চেকও প্রদান করা হয়।
পরে জুমার নামাজের পর জানাজা শেষে নিজ গ্রামের পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয় রনিকে।
নিহত ফরহাদ আহম্মেদ রনি বাগুড়ী গ্রামের সাবেক ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মাহামুদ আলীর ছেলে। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, চার বছরের একমাত্র কন্যা সন্তান, বাবা-মা ও একমাত্র ছোট বোনকে রেখে গেছেন।
রনির অকাল মৃত্যুতে গভীর শোক ও সমবেদনা জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় বিএনপির সাবেক দপ্তর সম্পাদক মফিকুল হাসান তৃপ্তি, শার্শা উপজেলা বিএনপির প্রধান উপদেষ্টা খায়রুজ্জামান মধু, উপজেলা বিএনপির সভাপতি আবুল হাসান জহির, সাধারণ সম্পাদক নুরুজ্জামান লিটন, কায়বা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি রবিউল হোসেন, সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলামসহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।
Leave a Reply