রবিবার, ০৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ১১:২৪ অপরাহ্ন
Title :
পাকিস্তানের বিপক্ষে সহজ জয়ে এগিয়ে গেল বাংলাদেশ রোহিঙ্গাদের জন্য ১১ মিলিয়ন ডলার তহবিল ঘোষণা যুক্তরাজ্য ও কাতারের সরকারি অফিসে হয়রানি উত্তরণে চালু হচ্ছে ‘অ্যাপ’ দুর্নীতির বিরুদ্ধে অন্তর্বর্তী সরকার কঠোর অবস্থান নিতে পারেনি : ইফতেখারুজ্জামান ১৮তম কাউন্সিল অব দ্য কলেজ সভা অনুষ্ঠিত সুপ্রিম কোর্ট সচিবালয়ে ৪৮৯ পদে নিয়োগের সিদ্ধান্ত সীমান্তে যুদ্ধাবস্থা নেই অথচ মানুষকে গুলি করে মারা হয় : পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বিয়ের গুঞ্জনে পানি ঢাললেন কনা নির্বাচন-গণভোটের প্রস্তুতি নিয়ে প্রধান উপদেষ্টাকে অবহিত করলেন সিইসি তফসিল ঘোষণার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে পোস্টার না সরালে ব্যবস্থা

দুর্নীতির অভিযোগে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার আঞ্চলিক পরিচালক সাইমা ওয়াজেদকে অনির্দিষ্টকালের ছুটি প্রদান

  • আপডেট টাইম : শনিবার, ১২ জুলাই, ২০২৫, ১.১১ অপরাহ্ণ
  • ২৭৪ বার

ডেক্স নিউজ :

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)-এর দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া অঞ্চলের আঞ্চলিক পরিচালক সাঈমা ওয়াজেদ পুতুলকে অনির্দিষ্টকালের জন্য ছুটিতে পাঠানো হয়েছে। শুক্রবার (১১ জুলাই) থেকে এ সিদ্ধান্ত কার্যকর হয়েছে বলে ডব্লিউএইচওর মহাপরিচালক ড. টেড্রোস আধানম গেব্রেইয়েসুস এক অভ্যন্তরীণ ইমেইলে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এই পদক্ষেপকে সংস্থাটির ইতিহাসে প্রথম উচ্চপদস্থ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগে আনুষ্ঠানিক ব্যবস্থা হিসেবে দেখা হচ্ছে। ফলে এটি একটি নজিরবিহীন ঘটনা হিসেবে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে গুরুত্ব পাচ্ছে।

ডব্লিউএইচও জানিয়েছে, সাঈমার অনুপস্থিতিতে সহকারী মহাপরিচালক ড. ক্যাথারিনা বেহম ‘কার্যনির্বাহী কর্মকর্তা’ হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন এবং আগামী ১৫ জুলাই নয়াদিল্লিতে সংস্থার আঞ্চলিক কার্যালয়ে যোগ দেবেন।

২০২৪ সালের জানুয়ারিতে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া অঞ্চলের আঞ্চলিক পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব নেন সাঈমা ওয়াজেদ। শুরু থেকেই তার নিয়োগ নিয়ে প্রশ্ন ওঠে—বিশেষ করে অভিযোগ ছিল, তার মা, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিয়োগ প্রক্রিয়ায় প্রভাব রেখেছেন।

এর আগে গত মার্চ মাসে বাংলাদেশের দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) সাঈমার বিরুদ্ধে প্রতারণা, জালিয়াতি এবং ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগে মামলা দায়ের করে। দুদকের তথ্য অনুযায়ী, সাঈমা তার শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে ভুয়া তথ্য দিয়েছেন এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) ‘অনারারি’ পদে ছিলেন বলে যে দাবি করেছেন, তা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ অস্বীকার করেছে।

এছাড়াও, দুদক অভিযোগ করেছে যে, সাঈমা তার প্রতিষ্ঠিত সূচনা ফাউন্ডেশনের প্রধান থাকাকালীন সময় বিভিন্ন ব্যাংক থেকে প্রায় ২.৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলার অনুদান হিসেবে গ্রহণ করেন, যার ব্যবহার নিয়ে এখনও কোনও স্বচ্ছ ব্যাখ্যা পাওয়া যায়নি।

তার বিরুদ্ধে বাংলাদেশ দণ্ডবিধির ৪২০, ৪৬৮ ও ৪৭১ ধারা এবং দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন, ১৯৪৭-এর ৫(২) ধারা অনুসারে অভিযোগ আনা হয়েছে।

এই মামলার কারণে সাঈমার চলাফেরা সীমিত হয়ে পড়েছে, বিশেষ করে বাংলাদেশে ফিরলে তার গ্রেপ্তারের ঝুঁকি রয়েছে বলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকে ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে।

বিশ্লেষকরা মনে করছেন, ডব্লিউএইচও’র মতো আন্তর্জাতিক সংস্থায় এমন অভিযোগ ও পদক্ষেপ প্রতিষ্ঠানের বিশ্বাসযোগ্যতা ও স্বচ্ছতা রক্ষায় একটি গুরুত্বপূর্ণ নজির তৈরি করল। এখন দেখার বিষয়, এই মামলার বিচারিক প্রক্রিয়া কতটা স্বচ্ছ ও কার্যকরভাবে অগ্রসর হয়।

Please Share This Post in Your Social Media

এ ক্যাটাগরীর আরো সংবাদ

Footer Widget

Footer Widget

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

© 2019, All rights reserved.
Design by Raytahost.com