যশোর সংবাদদাতা :
‘নাই নাই ভয়, হবে হবে জয়’—এই আশাবাদী প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে অনুষ্ঠিত হলো জাতীয় রবীন্দ্রসঙ্গীত সম্মিলন পরিষদ যশোর জেলা শাখার দ্বিবার্ষিক সম্মেলন। শনিবার (১২ জুলাই) সকাল ১০টায় যশোর বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের মিলনায়তনে এই সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
জাতীয় সংগীত পরিবেশনার মাধ্যমে সম্মেলনের উদ্বোধন করেন সাবেক অধ্যক্ষ প্রফেসর অশোকা দত্ত। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পরিষদের কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি সোহরাব হোসেন ও অশোক সাহা। উদ্বোধনী অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন পরিষদের যশোর জেলা শাখার সভাপতি শ্রাবণী সুর। স্বাগত বক্তব্য দেন সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির আহ্বায়ক হারুন অর রশীদ।
উদ্বোধনী পর্ব শেষে শুরু হয় কাউন্সিল অধিবেশন, যার সভাপতিত্ব করেন হারুন অর রশীদ। অধিবেশনে পূর্ববর্তী কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করে নতুন নেতৃত্ব নির্বাচনের প্রক্রিয়া শুরু হয়।
কাউন্সিল অধিবেশনের শুরুতেই প্রয়াত সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্বদের স্মরণে শোক প্রস্তাব উত্থাপন করেন প্রণব দাস, এরপর এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। শুভেচ্ছা বক্তব্য ও সম্পাদকীয় প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক শুভঙ্কর গুপ্ত, অর্থনৈতিক প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন অ্যাডভোকেট প্রশান্ত দেবনাথ।
মুক্ত আলোচনায় অংশ নেন ও উপস্থিত ছিলেন, দীপংকর দাস রতন (তির্যক যশোর), অ্যাডভোকেট বাসুদেব বিশ্বাস (সুরবিতান), সাজ্জাদুর রহমান খান বিপ্লব (উদীচী), পান্নালাল দে (পুনশ্চ), আনোয়ারুল করীম সোহেল (কিংশুক), শাহিন ইকবাল (সনাকের সাবেক সভাপতি), সাধন কুমার দাস, মাহমুদা রিনি ও হাসান হাফিজুর রহমান (শিল্পাঙ্গন) প্রমুখ।
কাউন্সিল শেষে সর্বসম্মতিক্রমে শ্রাবণী সুরকে সভাপতি ও গাজী সাইফুল ইসলাম ডাবলুকে সাধারণ সম্পাদক করে ২১ সদস্যবিশিষ্ট নতুন কার্যনির্বাহী কমিটি গঠন করা হয়।
নবগঠিত কমিটির নেতৃবৃন্দগণ হলেন, সহ সভাপতি – দীপংকর দাস রতন, মাসুদ পারভেজ মিঠু, নওরোজ আলম খান চপল, কোষাধ্যক্ষ – মাহমুদা খানম রিনি, সম্পাদক – এ্যাডভোকেট প্রশান্ত দেবনাথ, সদস্য – কাজী শাহেদ নওয়াজ, লক্ষী রাণী বৈদ্য, ললিতা বিশ্বাস, সন্ধ্যা অধিকারী, শুভঙ্কর গুপ্ত, আহম্মেদ সাঈদ বুলবুল, সাজ্জাদুর রহমান খান বিপ্লব, প্রণব দাস, পান্নালাল দে, হাসান হাফিজুর রহমান, অরুপ মজুমদার, সবিতা পাল, মণিষা গাঙ্গুলী ও রফিকুল ইসলাম। সম্মেলনের শেষ পর্বে নবগঠিত কমিটির সদস্যদের পরিচিতি সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সাংস্কৃতিক চেতনা ও রবীন্দ্র ভাবনার ধারক-বাহক হিসেবে জাতীয় রবীন্দ্রসঙ্গীত সম্মিলন পরিষদের এই সম্মেলন জেলার সাংস্কৃতিক পরিমণ্ডলে নতুন প্রাণসঞ্চার করেছে বলে মনে করেন অংশগ্রহণকারীরা।
Leave a Reply