অনলাইন ডেক্স :
প্রবীণদের জন্য আত্মনির্ভরশীল ও মর্যাদাপূর্ণ জীবনের সুযোগ তৈরিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ থাকার কথা জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, “প্রবীণরা কোনো সমাজের বোঝা নন, তারা হলেন জীবন্ত ইতিহাস। তাদের জ্ঞান ও অভিজ্ঞতাই ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য অমূল্য দিকনির্দেশনা।”
মঙ্গলবার (৭ অক্টোবর) ‘আন্তর্জাতিক প্রবীণ দিবস’ উপলক্ষে দেওয়া এক বাণীতে প্রধান উপদেষ্টা এ আহ্বান জানান।
ড. ইউনূস বলেন, জুলাইয়ের গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে যে বৈষম্যহীন, দুর্নীতিমুক্ত ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার যাত্রা শুরু হয়েছে, সেই লক্ষ্য অর্জনে প্রবীণদের অভিজ্ঞতা ও অন্তর্দৃষ্টি অপরিহার্য। তিনি আহ্বান জানান, প্রবীণদের যেন সমাজের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডে যুক্ত হওয়ার সুযোগ দেওয়া হয়, যাতে তারা সামাজিক সমস্যার সমাধানে সক্রিয় ভূমিকা রাখতে পারেন।
বাণীতে তিনি আরও বলেন, “আন্তর্জাতিক প্রবীণ দিবসের এ শুভক্ষণে আমি আমাদের শ্রদ্ধেয় প্রবীণ নাগরিকদের প্রতি আন্তরিক শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা জানাই। এ বছরের প্রতিপাদ্য ‘Older Persons Driving Local and Global Action: Our Aspirations, Our Well-being, Our Rights’ অত্যন্ত সময়োপযোগী ও অর্থবহ।”
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, আমরা এমন একটি পৃথিবীর স্বপ্ন দেখি যেখানে দারিদ্র্য থাকবে না, প্রতিটি মানুষ সম্মান ও মর্যাদার সঙ্গে জীবনযাপন করবে। সেই লক্ষ্য অর্জনে প্রবীণরা হতে পারেন অন্যতম চালিকাশক্তি— তাদের অভিজ্ঞতা সংকটে পথ দেখাবে, তরুণদের অনুপ্রাণিত করবে আত্মবিশ্বাস ও দায়িত্ববোধে।
শেষে তিনি আহ্বান জানান, “আসুন, প্রবীণদের আমাদের সমৃদ্ধ ভবিষ্যতের সক্রিয় অংশীদার হিসেবে বরণ করি। গড়ে তুলি এমন এক সমাজ, যেখানে প্রত্যেকে নিজের সর্বোচ্চ সম্ভাবনা কাজে লাগিয়ে সম্মানিত ও পরিপূর্ণ জীবনযাপন করতে পারে।”
সূত্র: বাসস









Leave a Reply