অনলাইন ডেক্স :

বিআরটিএ’র (বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ) কর্মচারী পরিচয়ে প্রতারণার অভিযোগে দুই ব্যক্তিকে আটক করেছে যশোর কোতোয়ালি থানা পুলিশ। রোববার গভীর রাতে শহরতলীর শেখহাটি এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়।

আটকরা হলেন বাঘারপাড়া উপজেলার প্রেমচারা গ্রামের মৃত সোহরাব হোসেনের ছেলে সোহেল আহম্মেদ (৩৫) এবং সদর উপজেলার শেখহাটি জামরুলতলা এলাকার মতিয়ার রহমানের ছেলে ইমদাদুল হক (৪৩)। কোতোয়ালি থানার উপপরিদর্শক (এসআই) দেবাশীষ হালদারের নেতৃত্বে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়। সোমবার দুপুরে আটক দু’জনকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এর আগে রোববার রাত ৮টার দিকে বিআরটিএ যশোর কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক (ইঞ্জিনিয়ারিং) এ এস এম ওয়াজেদ হোসেন প্রতারণার অভিযোগে তাদের বিরুদ্ধে কোতোয়ালি থানায় মামলা দায়ের করেন।

মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, রোববার যশোর শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) আয়োজিত গণশুনানিতে প্রতারণার ঘটনাটি প্রকাশ পায়। শুনানিতে বাঘারপাড়া উপজেলার ক্ষেত্রপালা গ্রামের সোবহান সরদারের ছেলে ইলিয়াস হোসেন অভিযোগ করেন, ২০২১ সালে সোহেল আহম্মেদ ও ইমদাদুল হক নিজেদের বিআরটিএ কর্মচারী পরিচয় দিয়ে তার কাছ থেকে ড্রাইভিং লাইসেন্স তৈরির নামে ১২ হাজার টাকা নিয়েছিলেন।

অভিযোগকারী জানান, টাকা নেওয়ার পরও তারা তার লাইসেন্স তৈরি না করে আত্মসাৎ করেন। গণশুনানিতে উপস্থিত বিআরটিএ’র সহকারী পরিচালক ওয়াজেদ হোসেন জানান, ওই দুই ব্যক্তি কখনোই বিআরটিএ অফিসে চাকরি করেননি। এতে প্রমাণিত হয় তারা প্রতারক।

পরে অনুসন্ধানে জানা যায়, সোহেল ও ইমদাদুল একই কৌশলে আরও অনেকের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার পর বিআরটিএ কর্তৃপক্ষ তাদের বিরুদ্ধে মামলা করে।

পুলিশ বলছে, গ্রেপ্তারকৃতদের জিজ্ঞাসাবাদে আরও তথ্য পাওয়া গেছে, যা যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে। তাদের বিরুদ্ধে অতীতেও একই ধরনের প্রতারণার অভিযোগ রয়েছে কিনা, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।