দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগের অনুসন্ধান শুরু করেছে। দুদকের মহাপরিচালক (প্রতিরোধ) আক্তার হোসেন রোববার সাংবাদিকদের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
দুদকের অভিযোগ অনুযায়ী, রাজধানীর নিকুঞ্জ-১ এলাকায় নিজের ব্যক্তিগত মালিকানাধিন তিনতলা ডুপ্লেক্স বাড়ির সৌন্দর্যবর্ধন ও সাজসজ্জার নামে রাষ্ট্রের প্রায় ২৪ কোটি টাকা অপচয় করা হয়েছে। সাবেক রাষ্ট্রপতি রাষ্ট্রের দায়িত্ব শেষ করার পর পরিবারসহ বঙ্গভবন ছেড়ে ওই বাড়িতে ওঠেন। অভিযোগে বলা হয়েছে, বাড়ির আশেপাশে বিভিন্ন নির্মাণ ও সাজসজ্জার কাজে এই বিপুল অর্থ ব্যয় করা হয়েছে, যা যথাযথ ন্যায্য প্রক্রিয়া ছাড়া করা হয়েছে।
মহাপরিচালক আক্তার হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, “দুদক একটি স্বাধীন সংস্থা। দেশের কারো পদ-পদবী বিবেচনায় অনুসন্ধান কার্যক্রম পরিচালনা করা হয় না। অভিযোগের সত্যতা ও বস্তুনিষ্ঠতাই আমাদের প্রধান বিবেচনার বিষয়।”
দুদকের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, নিকুঞ্জের লেকড্রাইভ রোডের ৬ নম্বর প্লটে অবস্থিত তিনতলা ডুপ্লেক্স বাড়িটির মালিক সাবেক রাষ্ট্রপতি। অনুসন্ধান কার্যক্রমের মাধ্যমে দুদক এই বিপুল অর্থের ব্যয় ও অনিয়মের প্রকৃত তথ্য উদঘাটনের চেষ্টা করবে।
বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এটি দেশের উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সম্পদের স্বচ্ছতা এবং সরকারি অর্থের সুষ্ঠু ব্যবহারের ওপর নজরদারি বৃদ্ধির একটি গুরুত্বপূর্ণ উদাহরণ। দুদক কর্তৃপক্ষ বলেছে, অনুসন্ধান চলাকালীন সময়ে সংশ্লিষ্ট সব নথি, বিল ও প্রমাণাদি যাচাই করা হবে এবং প্রয়োজন হলে আইন অনুযায়ী যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ ধরনের অনুসন্ধান দেশে সরকারি সম্পদের ব্যবহার ও দুর্নীতিমুক্ত প্রশাসনের বিষয়ে জনগণের আস্থা বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। অনুসন্ধানের ফলাফল ভবিষ্যতে দেশের উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তা ও রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বদের জন্যও দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে পারে।
Leave a Reply